গত আইএসএলে যথেষ্ট নজর কেড়েছিল পাঞ্জাব এফসি। প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে পরাজিত করে অভিযান শুরু করলেও পরবর্তীতে বেশিদিন বজায় থাকেনি সেই ছন্দ। সময় এগোনোর সাথে সাথেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছিল এই ফুটবল দল।মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর টানা তিনটে ম্যাচে আটকে যেতে হয়েছিল প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের ছেলেদের। যার প্রভাব পড়েছিল পরবর্তী ম্যাচ গুলিতে। জামশেদপুর এফসির পাশাপাশি তাঁদের পরাজিত হতে হয়েছিল কলকাতা ময়দানের বাকি দুই প্রধানের কাছে।
দলের এমন পারফরম্যান্স স্বাভাবিকভাবেই হতাশ করেছিল ম্যানেজমেন্টকে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের চোট সমস্যা যথেষ্ট বিপাকে ফেলে দিয়েছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই ফুটবল ক্লাবকে। তবে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথৈবচ অবস্থা থাকলেও জানুয়ারি থেকেই ছন্দে ফিরে সুপার সিক্সের লড়াইয়ে নিজেদের নিশ্চিত করার পরিকল্পনা ছিল মহম্মদ উভাইসদের। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রভাব পড়েছিল পয়েন্ট টেবিলে। একটা সময় চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে গণ্য হলেও সেখান থেকে একেবারে তলানিতে চলে যায় পাঞ্জাব এফসি।
সেই হতাশা কাটিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপে চূড়ান্ত সাফল্য নিশ্চিত করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল মানোলো মার্কেজের এফসি গোয়ার কাছে। তারপর এই সিজনে ডুরান্ড কাপে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার ভাবনা থাকলেও সেটা কার্যকরী হয়নি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে এবার সুপার কাপে সাফল্য চান ডিলমপেরিস। আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর এই সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে নামবে পাঞ্জাব। গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে আটকে দেওয়ার পর এবার তাঁদের প্রতিপক্ষ অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু এই সিজনের শুরুতে ইভান নভোসেলেককে (Ivan Novoselec) রিলিজ করে দিয়েছিল পাঞ্জাব শিবির। পরবর্তীতে একাধিক আইএসএল ক্লাব তাঁকে নিয়ে আগ্ৰহী হলেও শেষ পর্যন্ত ইরাকের ডুহোক এসসিতে যোগদান করেন এই ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার। আগামী ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সেই দলের সঙ্গেই চুক্তি রয়েছে এই ফুটবলারের। এবার সেখানেই নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ বছর তিরিশের এই সেন্টার ব্যাকের।
