এবছর আদৌ কি হবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)? বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। বলাবাহুল্য, চলতি মরসুমের শুরু থেকেই আইএসএলের আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। তারপর ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত বিড জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে। কিন্তু একাধিক সংস্থার অনুরোধে ফেডারেশনের টেন্ডার কমিটি ডেডলাইন পিছিয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত তা বাড়িয়ে দেয় যারফলে অনেকেই মনে করেছিল এফএসডিএল বা অন্য কোনও সংস্থা হয়তো বিড জমা দেবে।
কিন্তু শুক্রবারও সকলের নিষ্ক্রিয় থাকার কথা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। তাই এই সিজনে টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে কিনা সেই নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য দলের অনুশীলন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যা রীতিমতো হতাশ করেছে সমর্থকদের। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত দল গঠনের কাজ সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়নি ওডিশা এফসি থেকে শুরু করে আরও একাধিক ফুটবল ক্লাব। তবুও আশার আলো দেখছেন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার।
গতকাল সাংবাদিকদের তরফে সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ আমরা এখনও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মতো আমাদের অনুশীলন স্থগিত করিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি যে আইএসএল চলবে। ভারতীয় ফুটবল এভাবে থামতে পারে না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, এআইএফএফ এবং প্রাক্তন কর্মকর্তারা অবশ্যই এটি ঘটতে দেবেন না।’ তবে এক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়টি উঠে এসেছে বারংবার।
সেই নিয়ে একটি বিখ্যাত সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘ আমার আবেদন, যদি বিসিসিআই কমপক্ষে চার-পাঁচ বছরের জন্য ভারতীয় ফুটবলকে স্পনসর করতে প্রস্তুত হয়, তাহলে তাদের জন্য ১০০-১৫০ কোটি টাকা খুব বেশি কিছু নয়। যদি তারা দায়িত্ব নেয়, তাহলে ভারতীয় ফুটবল আরও ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারবে। এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না।’ শেষ পর্যন্ত আদৌও দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয় কিনা সেটাই দেখার।


