বিগত কয়েক সিজন ধরে যথেষ্ট দাপুটে পারফরম্যান্স করে আসছে জামশেদপুর এফসি। বিশেষ করে গতবার তৎকালীন কোচ খালিদ জামিলের তত্ত্বাবধানে প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল এই ফুটবল দলকে। গত ডুরান্ড কাপে খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলের প্রথম ম্যাচ জয় দিয়েই শুরু করেছিল ইস্পাত নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। প্রথম ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী এফসি গোয়াকে। যা ব্যাপক চাপে ফেলে দিয়েছিল প্রতিপক্ষ দলকে।
এমনকি তারপর ও বজায় ছিল সেই একই ছন্দ। যদিও সেটা বজায় ছিল না পরবর্তীতে বেশকিছু ম্যাচে। যারফলে টুর্নামেন্টের পয়েন্ট টেবিলে বেশ কিছুটা নেমে আসতে হয়েছিল তাঁদের। যদিও সেবার দ্বিতীয় লেগে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। একের পর এক ম্যাচে সহজেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল জর্ডান মারিরা। যারফলে সহজেই দল চলে গিয়েছিল সুপার সিক্সে। সেখানে হুয়ান পেট্রো বেনালির শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে পরাজিত করে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেমিফাইনালে স্থান করে নিয়েছিল খালিদ জামিলের ছেলেরা।
কিন্তু সেখানেই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। লিগের প্রথম লেগের সেমিফাইনালে তাঁদের টেক্কা দেওয়া সম্ভব হলেও দ্বিতীয় লেগে তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। আপুইয়ার গোল বদলে দিয়েছিল সমস্ত কিছু। শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালেই ছিটকে গিয়েছিল জামশেদপুর। তারপর কলিঙ্গ সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য থাকলেও চূড়ান্ত সাফল্য আসেনি। সেই হতাশাজনক মরসুম ভুলে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ইস্পাত নগরীর এই দলের। এই বছর যথেষ্ট দাপটের সাথে ডুরান্ড কাপ শুরু করেছিল জামশেদপুর। কিন্তু পরবর্তীতে ডায়মন্ড হারবার এফসির কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল তাঁদের।
যারফলে ছিটকে যেতে হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। সেই হতাশা কাটিয়ে এবার আসন্ন সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর জামশেদপুর। সেজন্য দলের এক বাঙালি মিডফিল্ডারের সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নিল ম্যানেজমেন্ট। তিনি সৌরভ দাস। উল্লেখ্য, এবারের এই ডুরান্ডে যথেষ্ট নজর কেড়েছিলেন এই ফুটবলার। সেইদিকে নজর রেখেই এবার পুরো সিজনের জন্য তাঁকে দলে রাখল একবারের লিগ শিল্ড জয়ীরা।