ভারতীয় ফুটবলের শীর্ষ লিগ আইএসএলের (ISL) ভবিষ্যৎ এখন কার্যত অন্ধকারে। শুক্রবার বিড জমা দেওয়ার শেষ দিনে ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (FSDL) সহ কোনও সংস্থাই টেন্ডারে অংশ নেয়নি। ফলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ভাগ্য এখন ঝুলে রয়েছে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।
এর আগে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিড জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু একাধিক সংস্থার অনুরোধে ফেডারেশনের টেন্ডার কমিটি ডেডলাইন পিছিয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ায়। শেষ মুহূর্তে আশা ছিল, হয়তো এফএসডিএল বা অন্য কোনও সংস্থা বিড দেবে। কিন্তু শুক্রবারও যখন কোনও সংস্থা অংশ নিল না, তখন কার্যত আইএসএলের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে গেল।
সূত্রের খবর, বিড জমা দেওয়ার আগে এফএসডিএল প্রায় ২০০টি প্রশ্ন পাঠিয়েছিল ফেডারেশনের টেন্ডার কমিটির কাছে। কমিটি সেই প্রশ্নগুলির বিস্তারিত উত্তরও দেয়। তবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এফএসডিএলের সঙ্গে কমিটির মতভেদ থেকেই যায়।
সবচেয়ে বড় বিতর্কের জায়গা ছিল আর্থিক দায়বদ্ধতা ও অবনমন প্রথা। প্রতি বছর ৩৭.৫ কোটি টাকা দেওয়ার শর্তে এফএসডিএল আপত্তি তোলে। কিন্তু টেন্ডার কমিটি জানিয়ে দেয়, সেই অর্থ প্রদান বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে অবনমন ব্যবস্থা নিয়েও স্পষ্ট বার্তা দেয় ফেডারেশন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের প্রথম সারির লিগে ‘চ্যাম্পিয়নশিপ ও রেলিগেশন’ দুটোই থাকতে হবে।
এদিকে, আইএসএল শুরু হওয়ার আগে যে দল ও ভেন্ডাররা সব সময় প্রস্তুত থাকে, তারাও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ফুটবল মহলের ধারণা, এফএসডিএল হয়তো তখনই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হবে, যখন তা নিজেদের শর্তে সম্ভব হবে।
ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, আইএসএল আদৌ হবে কি না, হলে কবে হবে? যদি নভেম্বরের শেষ দিকেও কোনও সংস্থা দায়িত্ব না নেয়, তাহলে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির আগে লিগ শুরু করা কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফেডারেশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে, ভারতের সবচেয়ে বড় ফুটবল লিগের ভাগ্য কোন দিকে গড়াবে।
🚨 AIFF Statement 🔊#IndianFootball pic.twitter.com/z0da2txWIo
— Indian Football (@IndianFootball) November 7, 2025


