সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলতে না পারার হতাশায় সন্দেশ

Sandesh Jhingan Vows to Fight Back After India’s Loss to Hong Kong in AFC Asian Cup Qualifiers

গত ৯ই অক্টোবর এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী সিঙ্গাপুর ফুটবল দল। অ্যাওয়ে ম্যাচে তাঁদের পরাজিত করা যে খুব একটা সহজ কাজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানতেন সকলে। তাই সবদিক মাথায় রেখেই খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করেছিলেন নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ খালিদ জামিল।  উল্লেখ্য, ম্যাচের প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল সিঙ্গাপুরের ফুটবলারদের।  তবে সন্দেশ ঝিঙ্গান (Sandesh Jhingan) থেকে শুরু করে আনোয়ার আলিদের দক্ষতায় গোলের মুখ খুলতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষে, অতিরিক্ত সময় আচমকাই ভারতীয় রক্ষণভাগে হানা দিয়ে গোল তুলে নিয়েছিল সিঙ্গাপুর।

Advertisements

সেই নিয়ে নিঃসন্দেহে অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছিল ব্লু-টাইগার্সরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সেই গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল সুনীল ছেত্রীরা। সেক্ষেত্রে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি সিঙ্গাপুর। তবে ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধুর দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছিল পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নব্বই মিনিটের মাথায় এসেছিল সেই বহু প্রতীক্ষিত গোল। রহিম আলির দৌলতে নিজেদের হার বাঁচাতে সক্ষম হয় ভারতীয় শিবির। তবে ভারতীয় ফুটবল দলের এমন পারফরম্যান্স কিছুটা হলেও হতাশ করেছিল দেশের সকল ফুটবলপ্রেমীদের। এবার সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য সুনীল ব্রিগেডের।

Sandesh Jhingan Lauds FC Goa's Grit in AFC Champions League
Sandesh Jhingan Lauds FC Goa’s Grit in AFC Champions League

হাতে মাত্র একটা দিন‌। তারপর আগামী ১৪ই অক্টোবর এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলতে নামবে সুনীল ব্রিগেড। মারমাগাও এর বুকে এবার সিঙ্গাপুর ফুটবল দলকে পরাজিত করতে মরিয়া সকলে। তবে এবার নিজেদের দেশের মাটিতে এই ম্যাচ খেলতে না পাড়ার হতাশা তাড়া করে বেড়াচ্ছে জাতীয় দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গানকে (Sandesh Jhingan)। কিছু ঘন্টা আগেই নিজের সোশ্যাল সাইটে গত ম্যাচের বেশকিছু ছবি আপলোড করে তিনি লেখেন, ” কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও দলটি সত্যিকারের লড়াই এবং নিজেদের সেরাটা দেখিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১ পয়েন্ট অর্জন করেছে। সেই মনোবলের জন্য গর্বিত। অবশ্যই, জাতীয় দলে আমার প্রথম লাল কার্ড পাওয়ার জন্য আমি গভীরভাবে হতাশ এবং অপরাধবোধ করছি, কিন্তু আমি এটা স্বীকার করি এবং জানি যে এর সময়সীমার কারণে এটি আমাকে চিরকাল তাড়া করবে। কিন্তু এটাই ফুটবল।”

আরও লেখেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আরও তিনটি খেলা বাকি। এরপর, ঘরের মাঠে ১৪ তারিখ খেলা।চলো একসাথে এইটা জেতার চেষ্টা করি।” সন্দেশের (Sandesh Jhingan) অনুপস্থিতি দলের রক্ষণভাগকে যে অনেকটাই দুর্বল করে দেবে সেটা বলাই চলে।