পাথুম থানি স্টেডিয়ামে এবার জোর ধাক্কা খেল ব্লু-টাইগার্স। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ বিকেলে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে (India U23 vs Thailand) প্রীতি ম্যাচে নেমেছিল নৌসাদ মুসার ছেলেরা। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষ ফুটবল দল। এদিন থাইল্যান্ডের হয়ে গোল করে যান যথাক্রমে সিরাফপ ওয়ান্ডি, ফোন-এক মানিকর্ন, ছায়ায়াফোন অটন এবং থানাকৃত চোটমুয়াংপাক। এই জয় নিয়ে ব্যাপক খুশি প্রতিপক্ষ দলের কোচ। অন্যদিকে, এই ধাক্কা কাটিয়ে নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে সকলের।
আসলে এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতির জন্য নিজেদের দলকে ভালো করে পরোখ করে নিতে চান মুসা। সেজন্য, এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের পরবর্তী রাউন্ডে স্থান করা সম্ভব না হলেও কিছু দিনের ব্যবধানে একের পর এক দেশের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা জানিয়ে ছিলেন দেশের অনূর্ধ্ব -২৩ দলের এই ফুটবল কোচ। সেইমতো গত কয়েকদিন আগেই ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় ফুটবল দল। সেখানে অনায়াসেই এসেছিল জয়। সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্য ছিল ভারতের যুব দলের। কিন্তু এদিন খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি।
ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই ভারতের রক্ষণভাগে হানা দিয়ে গোল করে যান সিরাফপ ওয়ান্ডি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার দশ মিনিটের মধ্যেই আসে পরবর্তী গোল। এবার গোল করে যান মানিকর্ন। টানা দুইবার ডিফেন্সের এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করে যান ছায়ায়াফোন। তারপর থেকেই ক্রমাগত রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ভারতীয় ফুটবল দল। কিন্তু এরপরেও গোল হজম করে ভারতীয় ফুটবল দল। পঞ্চম কোয়ার্টারে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান চোটমুয়াংপাক।


