বর্তমানে সিনিয়র দলের পাশাপাশি ব্যাপক নজর কাড়ছে দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল (India U23 Squad) দল। বলাবাহুল্য, এবারের এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে যথেষ্ট প্রভাবশালী ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছিল ভারতের তরুণ ব্রিগেডকে। কোচ নৌসাদ মুসার তত্ত্বাবধানে প্রথম ম্যাচেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল বাহরিনের জাতীয় দলকে। দুই গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ব্লু-টাইগার্সরা। নজর কেড়েছিলেন মহম্মদ সুহেইল এবং শিবাল্ডো সিং। যা নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল দলের সকল ফুটবলারদের। ভারতীয় শিবিরের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল প্রতিপক্ষ দলকে।
তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল আয়োজক কাতার। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের বিপক্ষে লড়াইটা যে সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানতেন সকলে। তাছাড়া নিজেদের দেশের মাটিতে কাতারকে আটকানো যে একেবারেই সহজ নয় সেটাও ভালো মতো জানা ছিল সকলের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও একটা সময় পিছিয়ে যেতে হয়েছিল ভারতকে। পরবর্তীতে গোলের মুখ খুলতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। সমতায় ফেরার পর থেকেই আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল ভারতীয় ব্রিগেড। তবে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল সমস্ত কিছু।
যারফলে দশজনে খেলে পরাজিত হতে হয়েছিল নৌশাদ মুসার ছেলেদের। সেই পরাজয়ের দরুন পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে উঠেছিল ভারতের কাছে। তবুও নিজেদের সেরাটা দিয়ে ব্রুনেইকে পরাজিত করেছিল ভিবিন মোহাননরা। কিন্তু গোল পার্থক্যের ব্যবধান বদলে দেয় সমস্ত কিছু। সেই হতাশা কাটিয়ে কিছুদিন আগেই ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে অমীমাংসিত ফলাফলে প্রীতি ম্যাচ শেষ করেছিল ভারতের তরুণ ব্রিগেড। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। আর একদিন রয়েছে হাতে। আগামী ১৫ই নভেম্বর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে নামবে নৌসাদ মুসার ছেলেরা।
সেজন্য কিছুক্ষণ আগেই ২৩ জন ফুটবলারদের একটি চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করে দেন মুসা। যেখানে সুযোগ পেয়েছেন কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান তথা ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের দুই ফুটবলার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন জোসেফ জাস্টিন এবং লালথানকিমা। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে লাল-হলুদ ও সাদা-কালো জার্সিতে অনবদ্য ফুটবল খেলছেন এই দুই ফুটবলার। সহজেই যা নজর কেড়েছে ভারতীয় দলের হেড কোচের। তাই সবদিক মাথায় রেখেই তাঁদের রাখা হয়েছে স্কোয়াডে।


