গড়াপেটার অভিযোগে গ্রেফতার শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের দুই কর্তা

ifa-organized-cfl-kolkata-football-match-fixing-arrest

ফের শিরোনামে কলকাতা ময়দান (Kolkata Football)। তবে খেলার জন্য নয়, গড়াপেটার অভিযোগে। শতাব্দীপ্রাচীন এক ফুটবল ক্লাবের দুই কর্তাকে রবিবার সন্ধেয় গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের নাম আকাশ দাস ও রাহুল সাহা। অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে কলকাতার একাধিক ম্যাচে গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা।

Advertisements

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করেও এই গড়াপেটার চক্র পরিচালনা করা হচ্ছিল। ফলে ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) ও তথ্য প্রযুক্তি আইন (IT Act) বিভিন্ন ধারায় বেলঘরিয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার বিকেলেই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। দীর্ঘ জেরার পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

   

ক্লাবের অন্তর্দ্বন্দ্বে গড়াপেটার ছায়া

ফুটবল মহলের দাবি, গ্রেফতার হওয়া আকাশ দাস ছিলেন কলকাতার এক ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের দল গঠনের দায়িত্বে। গত তিন বছর ধরে ক্লাবের হয়ে দল তৈরি করতেন তিনি। ক্লাব সূত্রে জানা যায়, আর্থিক সংকটের কারণে ক্লাব কর্তারা আকাশের ওপরই এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তবে গত তিন মাস ধরে রাহুল সাহার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ ছিল না বলেই দাবি অন্যান্য কর্তাদের। রাহুল সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত তথ্য এখনও মেলেনি।

আগেও উঠেছিল গড়াপেটার অভিযোগ

উল্লেখ্য, চলতি বছর কলকাতা লিগ চলাকালীনই খিদিরপুর ও মেসারার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে। খিদিরপুরের অভিক গুহ ও মেসারার্সের দুই ফুটবলার মুসলিম মোল্লা ও সান্নিক মুর্মুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। আইএফএর সঙ্গে কাজ করা গড়াপেটা-বিরোধী সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

Advertisements

দিন কয়েক আগে আইএফএ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গড়াপেটা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের হাতে এসেছে। তার পরেই রবিবার রাতেই জোড়া গ্রেফতারি।

পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত দুই কর্তার মোবাইল ফোন ও আর্থিক লেনদেনের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও আন্তর্জাতিক বেটিং সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কি না, তাও তদন্তের আওতায়। কলকাতা ময়দানের অন্দরে এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। ফুটবল মহলের একাংশের মতে, “এ ধরনের ঘটনা কলকাতা ফুটবলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আইএফএকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”