মিউনিখ, ১৯ অক্টোবর ২০২৫: গোলের সামনে আবারও ঝলক দেখালেন হ্যারি কেন। টানা সপ্তম ম্যাচে গোল করে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-১ জয় এনে দিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। শনিবার ঘরের মাঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে বায়ার্ন বুন্দেসলিগার টেবিলে শীর্ষে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রাখল।
কেনের রেকর্ড ভাঙা গোল
এই ম্যাচে কেনের গোল শুধু বায়ার্নকে এগিয়ে দেয়নি, বরং তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারেও যুক্ত করল এক বড় মাইলস্টোন।
এটি ছিল বায়ার্নের জার্সিতে তাঁর ১০৪তম গোল।
একই সঙ্গে ক্লাব স্তরে এটি তাঁর ৪০০তম গোল।
চলতি মৌসুমে তিনি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১ ম্যাচে ১৯ গোল করেছেন, যার মধ্যে লিগে ১২টি।
প্রথমার্ধের ২১ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বল হেডে জালে জড়ান কেন, যা বায়ার্নকে শুরুতেই এগিয়ে দেয়।
ম্যাচের প্রবাহ
প্রথমার্ধ ছিল একেবারে বায়ার্নের দখলে। নতুন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি তাঁকে নামিয়েছিলেন নাম্বার ১০ রোলে, আর সামনে খেলছিলেন চেলসি থেকে ধারে আসা নিকোলাস জ্যাকসন। কেন প্রথম থেকেই পাস বিলি করে সতীর্থদের আক্রমণে সাহায্য করেন।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরল ডর্টমুন্ড। সেরহু গুইরাসির পাস থেকে করিম আদেয়েমি গোলের মুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন, কিন্তু শট নিতে গিয়ে পিছলে যান। ফলে সমতা ফেরানো হল না।
৭৯ মিনিটে মাইকেল অলিসে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বায়ার্নের হয়ে। যদিও ৮৪ মিনিটে জুলিয়ান ব্রান্ট ডর্টমুন্ডের হয়ে একটি গোল শোধ দেন, শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
টেবিলের অবস্থা
এই জয়ের ফলে বায়ার্নের সংগ্রহ ৭ ম্যাচে পূর্ণ ২১ পয়েন্ট। অপরাজিত থেকে টানা একাদশ জয়—সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে। ডর্টমুন্ড রইল চতুর্থ স্থানে, শীর্ষে থাকা বায়ার্ন থেকে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে।
অন্যান্য ম্যাচের ফলাফল
বায়ার লেভারকুজেন: আলেক্স গ্রিমালদোর জোড়া গোলে মাইনৎসকে ৪-৩ হারিয়ে অষ্টম ম্যাচেও অপরাজিত থাকল। তাদের অবস্থান পঞ্চম স্থানে।
আরবি লাইপজিগ: নবাগত হামবুর্গকে ২-১ হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল।
স্টুটগার্ট: উলফসবার্গকে ৩-০ হারিয়ে তৃতীয় স্থানে।
লেভারকুজেনের নতুন কোচ কাসপার হিউলমান্ড (এরিক টেন হাগকে সেপ্টেম্বরেই সরানো হয়) দলের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে পেরেছেন।
হ্যারি কেনকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে অনেক জল্পনা ছিল, কিন্তু ইংল্যান্ড অধিনায়ক প্রত্যাশার থেকেও বেশি দিচ্ছেন বায়ার্নকে। প্রতিটি ম্যাচে গোল, প্রতিটি ম্যাচে নেতৃত্ব—কেন যেন মিউনিখে এসে আরও একবার নতুন করে জন্ম নিয়েছেন। আর এই ফর্মে থাকলে, জার্মান লিগ তো বটেই, ইউরোপীয় মঞ্চেও বায়ার্নকে হারানো সহজ হবে না।