চার যুগ পর ফিফা বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র পেল হাইতি (Haiti World Cup 2026)। অতীতের রেকর্ড অনুযায়ী দেখলে গত ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সক্ষম হয়েছিল লাতিন আমেরিকার এই দেশ। এবার আসন্ন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো খেলতে চলেছে হাইতি। এক কথায় যা বিরাট বড় চমক। উল্লেখ্য, এবারের এই কোয়ালিফাইং রাউন্ডে প্রথম থেকেই যথেষ্ট আধিপত্য ছিল হাইতির ফুটবলারদের। তবে হুন্ডুরাস ও কোস্টারিকার মতো দল গুলিকে টেক্কা দিয়ে উঠে আসে মোটেই সহজ ছিল না।
তবে গত ম্যাচে নিকারাগুয়াকে দুইটি গোলের ব্যবধানে পরাজিত করতেই বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় এই দেশের। বর্তমানে সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সেখানকার ফুটবলপ্রেমীরা। হুন্ডুরাস এক্ষেত্রে গ্ৰুপ পর্বে তাঁদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসলেও শেষ ম্যাচে অন্তত একটি পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হত হাইতিকে। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি। অনায়াসেই নিকারাগুয়াকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে ফেলেছে সনি নর্দেদের দেশ। আসন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পানামার পাশাপাশি নিজেদের অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে হাইতি। এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই যথেষ্ট নজরকাড়া ফুটবল খেলে এসেছেন ডাকেন্স নাজন।
একের পর এক ম্যাচে অনায়াসেই গোল পেয়েছেন এই অভিজ্ঞ ফুটবলার। উল্লেখ্য, ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের কাছে একেবারেই অচেনা নন নাজন। গত ২০১৬-২০১৭ সালে ফরাসি ফুটবল ক্লাব স্তাদ্যে লাভালয়েস থেকে প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে এসেছিলেন নাজন। যোগদান করেছিলেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্সে। বলাবাহুল্য, সেবার দাপুটে ফুটবলের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয়বার টুর্নামেন্টের ফাইনালে ও উঠেছিল দক্ষিণের এই ফুটবল দলটি। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য আসেনি।
ফের পরাজিত হতে হয়েছিল অ্যাটলেটিকো দ্যা কলকাতার কাছে। সেবার এগিয়ে থেকেও ট্রফি আসেনি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার বদলে দিয়েছিল সমস্ত কিছু। তবে একক দক্ষতায় যথেষ্ট নজর কেড়েছিলেন এই বিদেশি ফুটবলার। আসন্ন বিশ্বকাপে ও তাঁর দিকে নজর থাকবে প্রত্যেকের।


