আগের মরসুমে দাপুটে ফুটবল খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল ওমেন্স টিম (East Bengal Women)। ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ জয় করার পাশাপাশি কন্যাশ্রী কাপ ঘরে তুলেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই সুবাদে এবার এএফসির ওমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রিলিমিনারী রাউন্ডে খেলার সুযোগ পেয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। সেখানে ও প্রথম থেকেই দাপট ছিল রেস্টি নানজিরিদের। যোগ্যতা অর্জন পর্বে একের পর এক শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দল স্থান করে নিয়েছিল ওমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল ভাগে। তারপর গত মাসের মাঝামাঝি সময় চীন উড়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। সেখানে প্রথম ম্যাচে ও বাজিমাত করেছিল সৌম্যা গুগুলথরা।
অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল ইরানের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব বাম খাতুন এফসিকে। তারপর আর এক পয়েন্ট নিশ্চিত করতে পারলেই এএফসির এই টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে চলে যেত ইস্টবেঙ্গল। যারফলে সৃষ্টি হতে পারত এক অনন্য রেকর্ড। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। গ্ৰুপ পর্বের শেষ দুইটি ম্যাচে আটকে যেতে হয়েছিল জিয়ংদার পাশাপাশি নাসাফের কাছে। তবে এক্ষেত্রে দুইটি ম্যাচ হারলেও খানিকটা সম্ভবনা ছিল ময়দানের এই প্রধানের। কিন্তু সেক্ষেত্রে নাসাফের কাছে দুই কিংবা তাঁর থেকে ও কম ব্যবধানে পরাজিত হতে হত মশাল কন্যাদের। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। অনবদ্য লড়াই করে ও শেষ পর্যন্ত গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচের অতিরিক্ত সময় তৃতীয় গোল হজম করেছিল ইস্টবেঙ্গল।
যারফলে অনায়াসেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয় দলকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ফুটবলাররা। তবে মহিলা দলের এমন অদম্য লড়াই যথেষ্ট খুশি করেছে সকলকে। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। এবার আর ও এক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে চলেছে মশাল কন্যারা। এবার সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা। সেজন্য, ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশ নেপালের পথে রওনা দিয়েছে দল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৮ই ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড এফসি।
