গতবার ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ জয় করেছিল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) মহিলা দল। ছেলেদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স থাকলেও মহিলা ব্রিগেড নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। তবে খুব একটা নিরাশ করেননি সৌম্যা গুগুলথরা। প্রথম থেকেই এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল মশাল কন্যারা। এমনকি গত কয়েকদিন আগেই চীনের বুকে গ্ৰুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইরানের এক শক্তিশালী দলকে পরাজিত করেছিল ফাজিলা ইয়কপুতরা। যারফলে পরবর্তীতে রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল তাঁদের।
কিন্তু সেটা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে হাঙ্কু স্পোর্টস ক্যালচারে চীনের শক্তিশালী দলের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের কন্যাদের। কিন্তু তবুও জিইয়ে ছিল পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভবনা। সেক্ষেত্রে তৃতীয় ম্যাচে নাসাফের বিপক্ষে অন্তত জিতলে বা ড্র করলেই নিশ্চিত হয়ে যেতে নক আউট। এমনকি দুই বা তার কম সংখ্যক গোলে পরাজিত হলেও টিকে থাকতে পারত পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভবনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আজ গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তিনটি গোলের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয় মাউরিন টোভিয়া ওকপালাদের। যারফলে শেষ হয়ে যায় সমস্ত স্বপ্ন। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সমর্থকরা।
তবে ম্যাচ পরবর্তীতে জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘ এভাবে ছিটকে যাওয়াটা সত্যিই হতাশাজনক। তবে এই হার আমাদের জন্য এক বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে। হয়তো আমরা আরও ভালো পারফর্ম করতে পারতাম। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এই অভিজ্ঞতাই আমাদের মানসিকতাকে আরও শক্তিশালী করবে। পরের বার সুযোগ এলে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়েই মাঠে নামব। সেই মতোই আমরা নিজেদের প্রস্তুত করার কাজ শুরু করব।’
অর্থাৎ আগামী দিনে ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি সাফল্যের পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্য থাকবে দলের সকল মহিলা ফুটবলারদের।
