এক জয়ই বদলে দিতে পারে দলের মানসিকতা (Kolkata Derby), এটাই প্রমাণ করল ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপ অভিযান শুরু হওয়ার পর বিদেশিহীন ডেম্পোর রক্ষণে আটকে গিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে চেন্নাইয়িন এফসিকে হারিয়ে দলের আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। সাউল ক্রেসপো এবং কোচ অস্কার ব্রুজো উভয়েই মনে করছেন, শুক্রবারের ডার্বি তাঁদের জন্য বড় পরীক্ষার মতো।
মোহনবাগানের সঙ্গে সুপার কাপ গ্রুপে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান একটু সুবিধাজনক। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকা লাল-হলুদরা শুধু ড্র করলেই সেমিফাইনালে পৌঁছাবে। তবু ড্রয়ের ধারণা নিয়ে মাঠে নামবেন না ব্রুজো। স্প্যানিশ কোচ একেবারে সাফ জানালেন, “মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই মাঠে নামব।” একই আত্মবিশ্বাসে প্রস্তুত সাউল ক্রেসপোও।
মাঠ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচের অভিযোগও রয়েছে। গ্রুপের দুটি ম্যাচ তারা খেলেছে ব্যাম্বোলিমে, মোহনবাগান খেলেছে ফাতোরদায়। বৃষ্টির পর ফাতোরদার মাঠ ভারী হয়ে যাওয়ায় ব্রুজো মনে করেন, ব্যাম্বোলিম তুলনামূলকভাবে ভাল। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফাতোরদার মাঠ ভারতের অন্যান্য মাঠের চেয়ে আলাদা।ফাতোরদার মাঠ বেশ শক্ত। ব্যাম্বোলিমের মাঠ তুলনামূলকভাবে ভাল। এই মাঠটা ভারতের অন্যান্য মাঠের চেয়েও আলাদা।”
ইডেনে অভিষেক ভুলে মন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক!শিল্ড ফাইনালে টাইব্রেকারে হারের আঘাত ভুলেননি ব্রুজো। তবে তিনি জানেন সুপার কাপের ফলও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শুরু থেকেই ৬ বিদেশিকে খেলানো যাবে, এই নিয়ম মাথায় রেখে ডার্বির দল সাজাচ্ছেন তিনি। মিগুয়েল, রাশিদ, কেভিনরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। রবসন, ম্যাকলারেনদের আটকাতে বাড়তি নজর রাখছেন কোচ।
ডার্বি মানেই আক্রমণাত্মক ফুটবল, এটাই লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের। তবে মাঠের অবস্থায় কিছুটা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ব্রুজো। তারপরও তিনি জানিয়েছেন, “মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই চাই।”
সুপার কাপের আগে মিডফিল্ডার সল ক্রেসপোও সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন। তিনি বলেন, “মোহনবাগান এই মুহূর্তে ভালো খেলছে। কিন্তু আমরা প্রস্তুত। ড্র নিয়ে চিন্তা নেই, শুধু জেতার দিকে মনোযোগ।” ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল সম্পর্কে ক্রেসপো বলেন, “মিগুয়েল খুব দক্ষ। ওর সঙ্গে খেলা আনন্দদায়ক এবং আমাদের মধ্যে দারুণ কম্বিনেশন তৈরি হয়েছে।”
ডার্বিতে নামার আগে ব্রুজো আরও একবার মনে করিয়ে দেন, “ফলাফল যদি আমাদের অনুকূলে না হয়, সমালোচনা শুরু হবে। তাই আমাদের মাথায় শুধু ডার্বি। ভারসাম্য বজায় রেখে খেলব, রক্ষণাত্মক ফুটবল নয়। মোহনবাগানের ভারতীয় ফুটবলাররা খুবই ভালো। ওদের আটকাতে আমাদের বোঝাপড়া বাড়াতে হবে।”
ডুরান্ড ও শিল্ড হাতছাড়া হয়েছে। এখন সুপার কাপই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে একমাত্র আশা। শুক্রবারের ডার্বিতে সব নজর শুধুই জয়ে এটাই লাল-হলুদ ব্রিগেডের লক্ষ্য।


