কার পাল্লা ভারী? গোয়ায় অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্ট-মোহন মহারণ

east-bengal-vs-mohun-bagan-super-cup-2025-derby-semi-final-race

মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই আইএফএ শিল্ড ফাইনালে (East Bengal vs Mohun Bagan) পেনাল্টি শুটআউটে পরাজয়ের দুঃখে কাতর হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল শিবির। প্রতিপক্ষ? চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সেই পুরনো ক্ষত নিয়েই আজ শুক্রবার ফের মুখোমুখি হচ্ছে দুই প্রধান। এবারের আসর ফেডারেশন আয়োজিত সুপার কাপ ২০২৫।

Advertisements

গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭.৩০-এ শুরু হবে মরসুমের তৃতীয় কলকাতা ডার্বি। স্টার স্পোর্টস খেল ও জিওহটস্টারে সরাসরি সম্প্রচার হবে ম্যাচটি। তবে এদিনের ম্যাচ ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে দুই দলের সমর্থদকের। কারণ এই ম্যাচই নির্ধারণ করবে, কে উঠবে সেমিফাইনালে।

   
অঙ্কের লড়াইয়ে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল

গ্রুপ ‘এ’র শীর্ষে আপাতত অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল। তিন ম্যাচে এক জয় ও এক ড্র নিয়ে ৪ পয়েন্ট মহেশদের ঝুলিতে। তাই ডার্বিতে জয় পেলেই নিশ্চিত সেমিফাইনাল। ড্র হলেও ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল, তবে কিছুটা নির্ভর করবে অন্য ম্যাচের ফলাফলের উপর।

এদিন বিকেল ৪.৩০-এ হবে ডেম্পো বনাম চেন্নাইয়িন এফসি ম্যাচ। যদি সেই ম্যাচে ডেম্পো ৫ বা তার বেশি গোলের ব্যবধানে জেতে এবং ডার্বি ড্র হয়, তাহলে ইস্টবেঙ্গলের সেমিফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে দিতে পারে গোয়ার ক্লাব। কিন্তু ডেম্পো যদি ৪-০ জেতে এবং ডার্বি গোলশূন্য থাকে, তাহলে দুই দলের মধ্যে হবে লটারির মাধ্যমে সেমিফাইনালিস্ট নির্ধারণ। অন্যদিকে, ডেম্পো যদি চার গোলে না জেতে, তাহলে ডার্বি ড্র হলেও সেমিতে যাবে ইস্টবেঙ্গল।

মোহনবাগানের জন্য নকআউট পরিস্থিতি

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানের সামনে আর কোনো হিসেব নেই, জিততেই হবে। চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে ভালোভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও ডেম্পোর বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্রয়ের পর থেকে জোসে মোলিনার দলের উপর চাপ বেড়েছে। ড্র করলেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হবে সবুজ-মেরুনদের।

বাগান অধিনায়ক শুভাশীষ বোস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “প্রতিটা ডার্বি আমাদের কাছে ফাইনালের মতো। এবারও সেটাই। সমর্থকদের জন্য আমরা সব কিছু দেব।”

Advertisements
দুই শিবিরে ভিন্ন মেজাজ

ইস্টবেঙ্গল শিবিরে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। মহেশ সিং, বিপিন সিং ও হামিদ আহাদাদের দুরন্ত ফর্মে টানা ছয় গোল এসেছে গত দুই ম্যাচে।
স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো বলেন, “আমরা এখন খুব উপভোগ করছি খেলা। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে জয়ের পর সবাই জানে, এই ম্যাচে কী আগ্রহ রয়েছে।”

অন্যদিকে, মোহনবাগান কোচ মোলিনা স্বীকার করেছেন, “এই মরসুমটা সহজ ছিল না। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একটাই জয়। মধ্যমাঠের নিয়ন্ত্রণই নির্ধারণ করবে ম্যাচের ভাগ্য।”

কলকাতার দুই প্রধানের এই ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আজ আবার নতুন অধ্যায় রচনার মুখে। একদিকে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে লাল-হলুদ, অন্যদিকে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামছে সবুজ-মেরুন।