আইএফএ শিল্ড ফাইনালের ডার্বিতে পরাজয়ের পর থেকে যেন একের পর এক বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। ড্রেসিংরুমে মনোমালিন্য থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফের সিদ্ধান্ত, সব মিলিয়ে লাল-হলুদ শিবিরে অশান্তির ছায়া। তবুও সেই সমস্ত বিতর্ককে পেছনে ফেলে গোয়ায় সুপার কাপ অভিযান শুরু করতে প্রস্তুত অস্কার ব্রুজোর দল।
গোয়ার মাটিতে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের সুপার কাপ অভিযান। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ একদা দেশের শীর্ষ ক্লাব ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাব। বহু বছর পর জাতীয় স্তরে ফেরার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামছে ডেম্পো। প্রধানত স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়েই সাজানো হয়েছে তাদের দল। অন্যদিকে, ছয় বিদেশিসহ পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই নামছে ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ শুরু থেকেই নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া অস্কার ব্রুজো।
শিল্ড ভুলে পাখির চোখ সুপার কাপ! শনিতেই অভিযান শুরু ইস্ট-মোহনের
ভারচুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে অস্কার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “সুপার কাপ জিতলে সরাসরি এএফসি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাওয়া যায়। আমাদের লক্ষ্য সেখানেই। ইস্টবেঙ্গলকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব।” তিনি আরও যোগ করেন, “গত মরশুমে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারিনি। এবার সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের দায়িত্ব।”
সঙ্গে ছিলেন দলের অভিজ্ঞ মাঝমাঠের ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী। তিনিও আত্মবিশ্বাসের সুরে বললেন, “এই মরশুমে দলে নতুন অনেক মুখ এসেছে। কিন্তু তারা সবাই অভিজ্ঞ, বিভিন্ন দেশে খেলেছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই। টুর্নামেন্টে সেরাটা দেওয়া।”
তবে ম্যাচের আগে লাল-হলুদ শিবিরে বড় প্রশ্ন, গোলপোস্টের নিচে কে থাকবেন? আইএফএ শিল্ড ফাইনালের টাইব্রেকারে প্রভসুখন গিলের পরিবর্তে দেবজিৎ মজুমদারকে নামানো নিয়েই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এবার আবার নতুন সমস্যা। অস্কার জানালেন, “ভেবেছিলাম ডেম্পোর বিরুদ্ধে দেবজিতকেই খেলাব। কিন্তু অনুশীলনে ও চোট পেয়েছে। তাই কাল কাকে খেলানো হবে, তা ম্যাচের আগেই ঠিক করব।” ফলে গিলের আবারও সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
অস্কারের জন্য গোয়া যেন আবেগের জায়গা। ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি কোচিং করেছিলেন স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ায়। সেখানেই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়, ফলে এই রাজ্য তাঁর কাছে বিশেষ স্মৃতিময়। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গোয়া আমার কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো। এখানে ফিরে সবসময় ভালো লাগে। এবার চাই, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্যও এখান থেকে সুন্দর স্মৃতি নিয়ে ফিরতে।”
ডেম্পোর কোচ সমীর নায়েকের সঙ্গেও অস্কারের পুরনো সম্পর্ক আছে। সেই বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেও তিনি জানিয়ে দেন, “বন্ধুত্ব মাঠের বাইরে। ম্যাচে কোনও দলকেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ডেম্পো স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়েও লড়াই করবে। তাই আমাদের শতভাগ দিতে হবে।”


