লাল-হলুদ শিবিরে নতুন রক্ত। ইস্টবেঙ্গল এফসি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করল, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন একাডেমির তরুণ ফরোয়ার্ড শিলাজিৎ সাঁতরা এবার ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। মাত্র ২০ বছর বয়সেই বাংলার এই ফুটবলার পেয়েছেন আইএসএল মঞ্চে খেলার বড় সুযোগ।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন টুইটারে এই খবর প্রকাশ করতেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ফেটে পড়ে। ক্লাবের অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে শুরু করেছেন— “Welcome to East Bengal, Silajit ❤️💛।” কারও মতে, “এবার মাঠে আবারও দেখা যাবে বাঙালি ছেলের ঝলক।”
শিলাজিৎ এর শুরু
ছোটবেলা থেকেই ফুটবল ছিল শিলাজিৎ-এর নেশা। স্থানীয় প্রতিযোগিতা থেকে ধাপে ধাপে উঠে আসেন তিনি। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ইয়ং চ্যাম্পস একাডেমিতে ট্রেনিং শুরু করার পর তাঁর প্রতিভা নতুন মাত্রা পায়। দ্রুততা, গোল করার প্রবণতা এবং আক্রমণে সৃজনশীলতা তাঁকে নজরে আনে। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের নজরে আনে এই তরুণ স্ট্রাইকারকে।
ইস্টবেঙ্গলের পরিকল্পনা
ক্লাব ম্যানেজমেন্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, ভবিষ্যতের জন্য তরুণ প্রতিভাদের উপর জোর দিচ্ছে তারা। আইএসএল-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক লিগে দেশীয় ফুটবলারদের পারফরম্যান্সই আসল চাবিকাঠি। সেজন্যই শিলাজিৎকে দলে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে তাঁকে ডেভেলপমেন্ট স্কোয়াডে রাখা হলেও ফর্ম ও ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে খুব দ্রুতই তিনি সিনিয়র দলে সুযোগ পাবেন।
কোচিং স্টাফ মনে করছে, সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তিনি লাল-হলুদের আক্রমণভাগে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে পারবেন।
সমর্থকদের প্রত্যাশা
ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসে বহু বাঙালি ফুটবলার ক্লাবের গর্ব বাড়িয়েছেন। সমর্থকরা বিশ্বাস করছেন, শিলাজিৎও সেই ধারাকে বজায় রাখবেন। একজন ফ্যান সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “লাল-হলুদ জার্সিতে বাঙালি ফরোয়ার্ডকে দেখার আলাদা আনন্দ আছে।” আরেকজন বলেছেন, “এই তরুণই একদিন আমাদের নতুন আইকন হবে।”
ভারতীয় ফুটবলে নতুন অধ্যায়
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন একাডেমি থেকে অনেক প্রতিভা ইতিমধ্যেই বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। শিলাজিৎ সাঁতরা সেই তালিকার সর্বশেষ নাম। তাঁর সাফল্য ভারতীয় ফুটবলে আরও তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “আইএসএল-এর মতো লিগে খেলার অভিজ্ঞতা তরুণ খেলোয়াড়দের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শিলাজিৎ সেই সুযোগ এখন পেয়েছেন।”
লাল-হলুদ সমর্থকরা এখন স্বপ্ন দেখছেন, মাঠে আবারও দেখা যাবে এক বাঙালি প্রতিভার উত্থান। শিলাজিৎ সাঁতরা ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে কতটা আলো ছড়াতে পারবেন, সেটা সময়ই বলবে। তবে আপাতত তাঁর সই নতুন মরশুমের আগে সমর্থকদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে।