ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) ফের গৃহদাহ। আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে টাইব্রেকারে পরাজয়ের পর থেকেই ক্লাবের অন্দরে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। সেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে গোলকিপার পরিবর্তন এবং তার জেরে দলীয় কোচিং স্টাফের উপর হেড কোচ অস্কার ব্রুজোর ক্ষোভ। আর সেই আগুনে যেন ঘি ঢেলে দিলেন গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী নিজেই। জানা গিয়েছে তিনি গোলকিপার কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
মাত্র তিন মাস আগেই ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আশিয়ান জয়ী প্রাক্তন তারকা সন্দীপ নন্দী। কোচিং কেরিয়ারে যথেষ্ট সফল সন্দীপ। তিনি একাধিক ভারতীয় ও বিদেশি কোচের আস্থাভাজন ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, এবার তাঁকেই হেড কোচের চক্ষুশূল হতে হল এক ম্যাচের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে। শিল্ড ফাইনালের টাইব্রেকারের ঠিক আগে প্রভসুখন গিলের পরিবর্তে দেবজিৎ মজুমদারকে মাঠে নামানো হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হয়নি এবং ম্যাচ শেষে অস্কার সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি দায় চাপান কোচিং স্টাফের উপর।
বিহার নির্বাচনে বিশেষ দায়িত্ব পেলেন তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার
সূত্রের খবর, সুপার কাপ খেলতে গোয়া পৌঁছনোর পর সন্দীপ কোচ অস্কারকে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চান, কিন্তু তাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বরং, প্রকাশ্যেই অস্কার তাঁকে ‘অযোগ্য’ বলে চেঁচিয়ে অপমান করেন দলের ফুটবলারদের সামনেই। অপমানের জবাবে আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন সন্দীপ। তিনি ইস্টবেঙ্গলের জন্য আর কাজ করতে আগ্রহী নন বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানান এবং কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
ডুরান্ড কাপে আশানুরূপ ফল না পাওয়া, শিল্ড হাতছাড়া এবং সুপার কাপের ঠিক আগ মুহূর্তে কোচিং স্টাফে এই ধরণের অস্থিরতা ইস্টবেঙ্গলের জন্য কার্যত এক বড় ধাক্কা। এখন দেখার, ক্লাব কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলায় এবং সন্দীপ নন্দীর জায়গায় নতুন কোচ কাকে নিয়ে আসা হয়।