অপেক্ষার অবসান। এবার সুপার কাপের (Super Cup 2025) সেমিফাইনালে স্থান করে নিল মশাল ব্রিগেড (East Bengal)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় গোয়ার জওহরলাল নেহরু ফতোরদা স্টেডিয়ামে সুপার কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান তথা ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সম্পূর্ণ সময় শেষে ০-০ গোলের অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হল এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। জেমি ম্যাকলারেন থেকে শুরু করে হামিদ আহদাদের মত ফুটবলাররা গোটা ম্যাচ জুড়ে একাধিকবার গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। যারফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হল এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।
FT | INTO THE SEMI-FINALS 💪🔴🟡#JoyEastBengal #AIFFSuperCup #MBSGEBFC pic.twitter.com/khChx73oc3
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) October 31, 2025
এই সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ অনুযায়ী দুই প্রধানের পয়েন্ট সমান হলেও ডার্বির আগে থেকেই গোল পার্থক্যে বেশ কিছুটা অ্যাডভান্টেজ ছিল সাউল ক্রেসপো’দের। যারফলে জয় না আসলেও এই ম্যাচ ড্র করলেই পরের রাউন্ডে চলে যাওয়া নিশ্চিত ছিল ইস্টবেঙ্গলের। অন্যদিকে, সেমিফাইনালে যেতে হলে ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করতেই হত সবুজ-মেরুনের ফুটবলারদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পূর্ন শক্তি নিয়ে ও অস্কার ব্রুজোর দুর্বল ইস্টবেঙ্গলের কাছে আটকে গেলেও মোহনবাগান। সেইসাথে টুর্নামেন্ট থেকে ও ছিটকে গেল ময়দানের এই প্রধান।
সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ বাগান সমর্থকরা। বলাবাহুল্য, গত ডেম্পো ম্যাচের পয়েন্ট নষ্ট করার পর এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়লাভ করাই চ্যালেঞ্জ ছিল হোসে মোলিনার ছেলেদের। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না। ম্যাচের প্রথম থেকেই জেমি ম্যাকলারেন থেকে শুরু করে লিস্টন কোলাসোর মতো ফুটবলাররা গোটা মাঠ দৌড়ে গেলে ও লাল-হলুদের আক্রমণ সামাল দিতেই কেঁটে গিয়েছে অনেকটা সময়। যারফলে দুইটি অর্ধ মিলিয়ে মাত্র হাতেগোনা কয়েকবার ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগে হানা দিতে দেখা গিয়েছিল বাগান ফুটবলারদের। কিন্তু আনোয়ার আলি থেকে শুরু করে জয় গুপ্তার মতো ডিফেন্ডারদের পাশাপাশি প্রভসুখান সিং গিলের দক্ষ হাতে আটকে যেতে হয় বারংবার।
প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গল দলকে। কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। ম্যাচের পঞ্চম কোয়ার্টারে আক্রমণে তেজ বাড়াতে বিপিন সিং থেকে শুরু করে হামিদ আহদাদকে বসান অস্কার। পরিবর্তে মাঠে আসেন জাপানি তারকা হিরোশি ইবুসুকি এবং পিভি বিষ্ণু। পরবর্তীতে উইংয়ে শক্তি বাড়াতে মহেশকে তুলে এডমুন্ড লালরিন্ডিকাকে নামিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা ও দিয়েছিলেন হিরোশি। কিন্তু গোলের দেখা পাননি। অন্যদিকে, সবুজ-মেরুনের মাঝমাঠের পাশাপাশি আক্রমণভাগকে সতেজ করতে একসাথে একাধিক পরিবর্তন আনেন মোলিনা।
রবসন রবিনহো থেকে শুরু করে দিমিত্রি পেত্রাতোস জেসন কামিন্স সহ পরবর্তীতে মাঠে এসেছিলেন দীপক টাংড়ি। বেশ কয়েকবার জল ঝড়ের বেগে উঠে আসলেও গোল আসেনি। এসবের মানেই ম্যাচের ৮৫ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়েন সাউল ক্রেসপো। পরিবর্তে মাঠে আসেন সৌভিক চক্রবর্তী। তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হলেও সাউলের চোট কতটা গুরুতর সেটাই দেখার।



