সুপার কাপের আগে অপ্রত্যাশিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে লাল-হলুদ শিবির (East Bengal)। গোলকিপার কোচের পদ থেকে সন্দীপ নন্দীর পদত্যাগ। একই সঙ্গে প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজোর মধ্যে তার মতভেদ, ক্ষোভ এবং সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত ঘিরে উত্তাল ইস্টবেঙ্গল মহল। এই বিতর্কে ক্লাবের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রত বলেন, “সন্দীপ কী বলতে চাইছেন, তা পরিষ্কার নয়। ওর কোনও লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। সুপার কাপ সামনে, এখন মনোযোগ সেদিকেই। পরে সমস্ত দিক শুনে দেখা হবে।” পাশাপাশি ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রাক্তন ফুটবলারদেরও অনুরোধ জানানো হয়েছে, এহেন মুহূর্তে কোনও মন্তব্য না করাই ভাল।
সন্দীপ নন্দী সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার ঠিক পরেই ইমামি ইস্টবেঙ্গলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ক্লাব সন্দীপের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “আমাদের জানা নেই ইমামির তরফে কী বলা হয়েছে। আমরা দল তৈরি করেছি আলোচনার মাধ্যমেই। কোচ নিজেই ইন্টারভিউ নিয়ে ওকে নিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবেই হয়েছে।”
বৃষ্টি নাকি ব্যাটিং সমস্যা? বিরাট-রোহিতের ব্যর্থতায় ‘বিস্ফোরক’ সীতাংশু
সুপার কাপের পূর্বে দলের অভ্যন্তরে এই ঘটনায় কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি দেবব্রত সরকারের। তিনি বলেন, “আমি খবর রাখছি, টিমের ভিতরে কোনও প্রভাব নেই। খেলোয়াড়রা মন দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
অন্যদিকে, মাঠ সংক্রান্ত অসন্তোষও প্রকাশ করেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা। তিনি বলেন, “মোহনবাগান ম্যাচ খেলছে মূল মাঠে, আর আমাদের ব্যাম্বোলিমে খেলতে হচ্ছে কেন? এই নিয়ে আমরা ফেডারেশনকে জানিয়েছি।”
সন্দীপ ইস্যুতে ইমামি এবং ক্লাব প্রশাসনের মধ্যে কোনও বিভেদ তৈরি হয়েছে কি না? প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রত স্পষ্ট বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই। লগ্নিকারী সংস্থা অনেক জায়গায় দল চালায়। কোথাও গ্যাপ থাকলে তা মিটে যাবে। কাদা ছোড়াছুড়ি করতেই আমরা এখানে আসিনি।”