দল সেমিতে উঠলেও অখুশি লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা, কিন্তু কেন?

East Bengal Official Debabrata Sarkar Optimistic About Resolving ISL

গতবারের হতাশা কাটিয়ে এবার সাফল্য পেতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। এক্ষেত্রে স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোর উপরেই ভরসা রেখেছে ম্যানেজমেন্ট। ডুরান্ডের সেমিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর আইএফএ শিল্ডে ব্যাপক প্রত্যাশা ছিল সকলের। কিন্তু সেখানেও আসেনি সাফল্য। টুর্নামেন্টের ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে। তারপর থেকেই সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে মরিয়া ছিল ময়দানের এই প্রধান। তবে শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম ম্যাচেই আটকে যেতে হয়েছিল দুর্বল ডেম্পোর কাছে।

Advertisements

তারপর চেন্নাইয়িন ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ময়দানের এই প্রধান। বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ার দরুন ডার্বি ম্যাচের আগে অ্যাডভান্টেজ ছিল মশাল ব্রিগেডের। আসলে ডেম্পোর কাছে পরবর্তী ম্যাচে মোহনবাগানের আটকে যাওয়াই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিল অস্কারের ছেলেদের কাছে। যারফলে আজ ডার্বি ম্যাচ ড্র করতেই পড়শী ক্লাবকে নক আউট করে সুপার কাপের সেমিফাইনালে স্থান করে নেয় মশাল ব্রিগেড। তবে এদিন গোটা ম্যাচ জুড়ে দাপিয়ে খেলে ও গোলের মুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সমর্থকরা।

   

পাশাপাশি এদিন দল সেমিতে স্থান করে নিলেও প্রবল অখুশি দেখা যায় লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে। আসলে দলের এদিন গোলের খরার পাশাপাশি মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) এই সাবেক কর্তা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ আমাদের ভাগ্য, রেফারি সবই তাড়া করে বেড়াচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে কাটবে বলে মনে হচ্ছে।দল খুব ভালো খেলেছে। তবে এই মাঠ অযোগ্য মাঠ। এই মাঠে টুর্নামেন্ট খেলা খুবই দুস্কর। এমনকি মেডিকেল টিম ও মনে হয় ছিল না হাফটাইম পর্যন্ত। এটাও খুব দুর্ভাগ্যজনক। এই পরিবেশে ফুটবলের উন্নতি করা খুব কষ্টকর। তাও দল ভালো খেলেছে। আমার মনে হয় সমর্থকরা উপভোগ করেছে। আশা করি দল ধীরে ধীরে আরও ভালো খেলবে।’

Advertisements

পাশাপাশি রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘এই রেফারি নিয়ে আমাদের প্রায় আট থেকে নয়টি অভিযোগ ছিল। তারপরেও এই রেফারিকে দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করা হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এই পরিবেশেই খেলতে হবে।’