কলকাতার ফুটবল (Kolkata Football) মহলে ফের চাঞ্চল্য। ময়দানে গড়াপেটা রুখতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এবার পুলিশের জালে খিদিরপুর ক্লাবের কর্তা আকাশ দাসের ঘনিষ্ঠ সুজয় ভৌমিক। বুধবার বৌবাজার থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সূত্রের খবর, গত রবিবারই গড়াপেটা কাণ্ডে খিদিরপুর ক্লাবের কর্তা আকাশ দাসকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন উঠে আসে সুজয় ভৌমিকের নাম। দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং আর্থিক লেনদেনের সূত্রেই পুলিশের নজরে আসে সুজয়। অভিযোগ, কলকাতার বিভিন্ন ফুটবল ম্যাচে গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্থের বিনিময়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তিরও অপব্যবহার করেছেন অভিযুক্তরা। ভারতীয় ন্যায়সংহিতা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে বেলঘরিয়া থানায় গ্রেফতার র করা হয়েছে দু’জনকে। তদন্তে আরও একাধিক নাম উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা পুলিশের সক্রিয় পদক্ষেপে সন্তুষ্ট তিন প্রধানের কর্তারা। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস বলেন, “আমার মনে হয়, এই গ্রেফতার গুলো একেবারে সঠিক পদক্ষেপ। আমাদের কাছেও খবর ছিল এদের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশ সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছে, এটা ফুটবলের জন্য ভালো লক্ষণ। আইএফএরও উচিত ছিল আগে থেকেই নজরদারি বাড়ানো।”
ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “প্রথম কৃতিত্ব আইএফএ-র, তারপর ক্রীড়ামন্ত্রীর। উনি চেয়েছিলেন, বিষয়টা জনসমক্ষে আসুক। পুলিশ কমিশনারকেও ধন্যবাদ দিতে হয়। সারা বিশ্বে যখন গড়াপেটা ফুটবলের মর্যাদা নষ্ট করছে, তখন বাংলা দেখাল কীভাবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যায়।”
পুলিশের দাবি, তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। আগামী দিনে আরও কয়েকজন ফুটবল সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ফুটবলের এই ‘অদৃশ্য খেলা’র আসল কারিগরদের খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর পুলিশ।


