এবারের সুপার কাপের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাবের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই আটকে যেতে হয়েছিল দুর্বল ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবের কাছে। লাল-হলুদের বিরুদ্ধে সমীর নায়াকের ছেলেদের অনুপদ্য লড়াই নিঃসন্দেহে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে। প্রথম ম্যাচে ধাক্কা খাওয়ায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল ময়দানের প্রধান দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ক্লিফোর্ড মিরান্ডার চেন্নাইয়িন এফসিকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করার সুবাদে নক আউটের লড়াইয়ে টিকে থাকে মশাল ব্রিগেড। তারপর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে খেলতে হয়েছিল লাল-হলুদকে।
সম্পূর্ণ সময়ের শেষে অমীমাংসিত ফলাফলে এই ম্যাচ শেষ হলেও গোল পার্থক্যের ভিত্তিতে ভাগ্যক্রমে সেমিফাইনালে উঠে যায় অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশির আমেজ দেখা গিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। তারপর দীর্ঘ বিরতি অতিক্রম করে অবশেষে কাল আয়োজিত হতে চলেছেন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল। যেখানে লড়াই করতে হবে প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে। পূর্বে বেঙ্গালুরুর মতো শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবকে টেক্কা দিয়ে সেমির স্থান পাকা করেছিল পাঞ্জাব। কাজেই অতি সহজে যে জয় আসবেনা সেটা সকলেরই জানা।
তাই বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই জোর কদমে অনুশীলন শুরু করেছিল মিগুয়েল ফিগুয়েরা থেকে শুরু করে আনোয়ার আলিরা। তবে সেমিফাইনালের কয়েকদিন আগেই উঠে আসতে শুরু করেছিল নয়া তথ্য। জানা গিয়েছিল অনুশীলন চলাকালীন চোট পেয়েছিলেন দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার জয় গুপ্তা। যার ফলে বেশ কয়েকদিন মূলত সাইড লাইনে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর অনুপস্থিতি প্রতিপক্ষ দলকে যে কতটা অ্যাডভান্টেজ দিতে পারে সেটা ভালো মতোই জানেন অস্কার। সেজন্য, গত কয়েকদিন আগে থেকেই বিকল্প পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করে দিয়েছিলেন এই স্প্যানিশ।
বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল জয় গুপ্তা একান্ত এই ম্যাচে নামতে না পারলে সেক্ষেত্রে আরেক ভারতীয় ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গাকে ব্যবহার করতে পারেন অস্কার ব্রুজো। এছাড়াও নাকি তাঁর বিকল্প হিসেবে বাঙালি ফুটবলার প্রভাত লাকড়ার দিকেও নজর রাখছেন লাল-হলুদ কোচ। তবে সেমিফাইনালে নামার আগে বুধবারের অনুশীলনে যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল জয় গুপ্তাকে। সব ঠিকঠাক থাকলে হয়তো তাঁকে নিয়েই পরিকল্পনা সাজাবেন ইস্টবেঙ্গলের হেড স্যার।
