প্রতিপক্ষের চাপ বাড়ছে! অভিষেক কবে? ইবুসুকিকে নিয়ে এল বিরাট আপডেট

east-bengal-hiroshi-ibusuki-like to debut-ifa-shield-final

আইএফএ শিল্ড ফাইনালের আগেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) শিবিরে এলো বড়সড় সুখবর। বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র (ITC) এসে পৌঁছেছে জাপানি স্ট্রাইকার হিরোশি ইবুসুকির (Hiroshi Ibusuki)। ফলে এবার আর কোনও বাধা রইল না লাল-হলুদের নতুন বিদেশির মাঠে নামার ক্ষেত্রে। ফাইনালেই হয়ত লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হতে চলেছে এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারের। আর প্রতিপক্ষ যদি হয় মোহনবাগান, তবে অভিষেকটা হবে সরাসরি ডার্বিতে। এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বাড়িয়ে তুলবে ম্যাচের উত্তেজনা।

মঙ্গলবার নামধারীর বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জিতে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পৌঁছেছে অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল। এই জয়ের পর থেকেই ফাইনালে সম্ভাব্য ডার্বি নিয়ে চর্চা শুরু হয় শহরের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। বুধবার ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে জিতলেই ফাইনালে চলে আসবে মোহনবাগান। তখন শনিবার ইন্ডিয়ান ফুটবলের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে কলকাতার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।

এই আবহেই হিরোশির ছাড়পত্র এসে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গল শিবিরে স্বস্তির হাওয়া। হিরোশিকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়েই সই করিয়েছিল ক্লাব। ইতিমধ্যে তিনি দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। এমনকি নামধারীর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু আইএফএ নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র ছাড়া কোনও বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামতে পারেন না। ফলে এতদিন খেলার অনুমতি পাচ্ছিলেন না এই জাপানি তারকা।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ইউনাইটেড স্পোর্টসের, দিমির দৌলতে এগিয়ে মোহনবাগান

৩৪ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা, যা তাঁকে বক্সের ভিতরে বিপজ্জনক করে তোলে। হেডে গোল করার দারুণ দক্ষতা রয়েছে তাঁর। ক্লাব ফুটবলে ইতিমধ্যেই ১১০টিরও বেশি গোল করে ফেলেছেন হিরোশি ইবুসুকি। ২০১১ সালে স্প্যানিশ জায়ান্ট সেভিয়া এফসিতে পা রাখেন তিনি। সেখান থেকে জাপানে ফিরে একাধিক ক্লাবে খেলেছেন সফলভাবে। ২০২২ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার এ-লিগ ক্লাব ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেডে যোগ দেন, যেখানে ১৫ ম্যাচে ১০ গোল করেন। যদিও জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর, তবু ক্লাব পর্যায়ের পারফরম্যান্সে তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং কার্যকরী স্ট্রাইকার।

Advertisements

ইস্টবেঙ্গলের কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্ট আশাবাদী যে, হিরোশির আগমন দলের আক্রমণভাগে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে। চলতি সিজনে ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ড লাইনে ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি, যা বারবার গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। সেই জায়গা থেকে হিরোশির উপস্থিতি প্রতিপক্ষের রক্ষণকে চাপে ফেলতে পারে। বিশেষ করে যদি শনিবারের ফাইনালে ডার্বি হয়, তবে তাঁর অভিষেক ম্যাচটা হতে পারে সিজনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

সমর্থকরাও দারুণ উত্তেজিত হিরোশিকে মাঠে দেখার জন্য। তাঁর অভিজ্ঞতা, উচ্চতা ও গোল করার খিদে হয়তো বহুদিন পর ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে একটা নতুন ধার আনবে। এখন দেখার, স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো তাঁকে শিল্ড ফাইনালের শুরু থেকেই নামান, নাকি দ্বিতীয়ার্ধে ‘ইমপ্যাক্ট সাব’ হিসেবে ব্যবহার করেন।