জয়ের ধারা বজায় থাকল অস্কার ব্রুজোর ছেলেদের। এদিন কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে আইএফএ শিল্ডের গ্ৰুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল নামধারী এফসি।
সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলল সাউল ক্রেসপোরা। এদিন দলের হয়ে গোল করে গেলেন যথাক্রমে মহম্মদ রশিদ এবং পিভি বিষ্ণু। প্রথমার্ধে তাঁদের করা গোলেই এগিয়ে ছিল মশাল ব্রিগেড। পরবর্তীতে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশ কয়েকবার সুযোগ আসলেও ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনায় বাজারে ধস, সেনসেক্স প্রায় ৩০০ পয়েন্ট পড়ল
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীনিধি ডেকান দলকে পরাজিত করার পর এদিন শুরু থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছিল মিগুয়েল ফিগুয়েরাদের। লাল-হলুদের ঘন ঘন আক্রমণের সামনে কার্যত দিশেহারা হওয়ার মত অবস্থা দেখা দিয়েছিল নামধারীর ডিফেন্ডারদের।
প্রথম কোয়ার্টার পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের আটকে রাখা সম্ভব হলেও পরবর্তীতে আর বজায় থাকেনি সেই ছন্দ। ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় মহম্মদ বাসিম রশিদের দুরপাল্লার শট প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গাঁয়ে লেগে সোজা চলে গিয়েছিল গোলের মধ্যে। যারফলে অনায়াসেই ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
তারপর থেকেই আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল মশাল ব্রিগেড। ম্যাচের ৪১ মিনিটের মাথায় নিজেদের দ্বিতীয় গোল তুলে নিয়েছিল অস্কারের ছেলেরা। এবার ডেভিড লালহানসাঙ্গার পাস থেকে গোল করে গেলেন তরুণ তারকা পিভি বিষ্ণু।
প্রথমার্ধের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আরও বেশি সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছিল মিগুয়েল ফিগুয়েরা থেকে শুরু করে সাউলের মতো ফুটবলাররা। তারপর ম্যাচের মাঝামাঝি সময় মিগুয়েল ফিগুয়েরা এবং ডেভিডের পরিবর্তে মাঠে আসেন মরোক্কান তারকা হামিদ আহদাদ এবং জেসিন টিকে।
হামিদের আসায় দল যে আরও অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে সেটা ভালো মতোই বুঝতে পেরেছিলেন নামধারী কোচ। সেইমতো নিজেদের রক্ষণভাগে যথেষ্ট নজর দিয়েছিলেন তিনি। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পর অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট সময় সংযুক্ত করেছিলেন ম্যাচ রেফারি। কিন্তু তাঁর পরে ও আর বদলায়নি ম্যাচের ফলাফল। শেষ পর্যন্ত দুইটি গোলেই আসে জয়। যারফলে গত ডুরান্ড কাপের পর এই ঐতিহাসিক শিল্ডে ও নামধারীকে টেক্কা দিল ইস্টবেঙ্গল।