জয়ের ধারা বজায় থাকল অস্কার ব্রুজোর ছেলেদের। এদিন কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে আইএফএ শিল্ডের (IFA Shield 2025) গ্ৰুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল নামধারী এফসি। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলল সাউল ক্রেসপোরা। এদিন দলের হয়ে গোল করে গেলেন যথাক্রমে মহম্মদ রশিদ এবং পিভি বিষ্ণু।
প্রথম কোয়ার্টার পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের আটকে রাখা সম্ভব হলেও পরবর্তীতে আর বজায় থাকেনি সেই ছন্দ। ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় মহম্মদ বাসিম রশিদের দুরপাল্লার শট প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গাঁয়ে লেগে সোজা চলে গিয়েছিল গোলের মধ্যে। যারফলে অনায়াসেই ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
তারপর থেকেই আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল মশাল ব্রিগেড। ম্যাচের ৪১ মিনিটের মাথায় নিজেদের দ্বিতীয় গোল তুলে নিয়েছিল অস্কারের ছেলেরা। এবার ডেভিড লালহানসাঙ্গার পাস থেকে গোল করে গেলেন তরুণ তারকা পিভি বিষ্ণু। শেষ পর্যন্ত দুইটি গোলেই আসে জয়। যারফলে গত ডুরান্ড কাপের পর এই ঐতিহাসিক শিল্ডে (IFA Shield 2025) ও নামধারীকে টেক্কা দিল ইস্টবেঙ্গল।
নামধারীকে ধরাশায়ী করে শিল্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচ শেষে নামধারী এফসির কোচ হরপ্রীত সিং বলেন, “ইস্টবেঙ্গল শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল। কিন্তু আমরা ভালো খেলেছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল রক্ষণভাগ মজুবত করে, প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের গোল পর্যন্ত পৌঁছাতে না দেওয়া। তবে সেটা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এছাড়াও আমরা চেষ্টা করেছিলাম প্রথমার্ধ পর্যন্ত গোলশূন্য করে রাখার।”
এবছর ডুরান্ডে কাপে গ্ৰুপ পর্বের ম্যাচেও ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। সেই ম্যাচের সঙ্গে এদিনের ম্যাচের পারফরম্যান্সে কতটা বদল হয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তরে নামধারী কোচ বলেন, “ডুরান্ডে গ্ৰুপ পর্বের ম্যাচের থেকে আজকের ম্যাচে, আমাদের ছেলেরা ভালো খেলেছে। তারা দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সেই ম্যাচের খেলার সঙ্গে আজকের খেলার তেমন একটা পার্থক্য ছিল না।”
নামধারীকে হারিয়ে সরাসরি আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে (IFA Shield 2025) জায়গা করে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও এখনও ঠিক হয়নি প্রতিপক্ষ। আগামীকাল ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিপক্ষে খেলতে নামবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সেই ম্যাচ বাগান জিতলেই কিংবা ড্র করলেই দ্বিতীয় দল হিসেবে পৌঁছে যাবে ফাইনালে। তাই আইএফএ শিল্ডের ভাগ্য নির্ধারণ ম্যাচে হবে হাইভোল্টেজ কলকাতা ডার্বি। সেই প্রসঙ্গে নামধারী কোচকে প্রশ্ন করা হয়ে ফাইনালে ডার্বি হলে কে এগিয়ে থাকবে?
নামধারী এফসির কোচ হরপ্রীত সিং বলেন, “দুই দলই সেরা। কিন্তু মোহনবাগানের সুবিধা বেশি থাকবে। ওদের দল খুবই ভালো এবং বেশি কিছু পুরনো ফুটবলার আছে। ম্যাচ জিততে সাহায্য করবে সেক্ষেত্রে।”
নামধারী এফসির কোচের বক্তব্যকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, আজকের খেলায় এই কোচের হতাশা, নিজেকে সম্পূর্ণভাবে হীনমন্যতা অনুভব করা। সেটা খেলা শেষে পরিষ্কার। তবে আমি একটা জিনিস যোগ করব, কীভাবে সবাই আগেই ফাইনালের টিকিট ঘোষণা করে দিচ্ছে, খেলা হওয়ার আগেই?”
তিনি আরও বলেন, “আমি যদি নামধারীর কোচ হতাম এবং ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতাম। আমি আমার খেলোয়াড়দের বলতাম দেখো, সবাই ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ফাইনাল ধরে নিচ্ছে। আমরা এখনও খেলিনি, আমাদের এই ম্যাচটা জিততেই হবে। কঠিন হতে হবে, শক্ত হতে হবে। এটাই এমন একটা জিনিস যা আমাদের ক্ষতি করছে। নামধারী আজ এসেছিল দাঁতে ছুরি নিয়ে। তারা খুশি নয় এবং আমি একই কথা বলব, কীভাবে এই কঠিন ম্যাচ খেলার আগেই সবাই ফাইনালের ঘোষণা করে দিল? কীভাবে সবাই বলছে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান? মোহনবাগানকেও তো কাল আবার খেলতে হবে। তারা ইউনাইটেডের চেয়ে শক্তিশালী, ঠিক আছে, কিন্তু খেলাটা তো খেলতেই হবে। তাহলে সবাই এমন আগেভাগে ঘোষণা দিচ্ছে কেন?”
𝗜𝗡𝗧𝗢 𝗧𝗛𝗘 𝗙𝗜𝗡𝗔𝗟! ❤️💛#JoyEastBengal #IFAShield pic.twitter.com/DUiA6MUPVQ
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) October 14, 2025
East Bengal Defeats Namdhari FC to Reach IFA Shield 2025 Final