গত সুপার কাপ খুব একটা আশানুরূপ ছিল না কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters)। কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ছিল সমর্থকরা। তবে সেই হতাশা কাটিয়ে এবারের এই সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর আদ্রিয়ান লুনারা। সেইমতো খেলোয়ারদের প্রস্তুত করেছেন ডেভিড কাতলা। এক্ষেত্রে তাঁর পছন্দকে গুরুত্ব দিয়েই খেলোয়াড়দের দলে টেনেছে ম্যানেজমেন্ট। যেখানে দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বিদেশি নির্বাচনে ও থেকেছে চমক।
তাঁদের নিয়েই এবার চূড়ান্ত সাফল্য পেতে বদ্ধপরিকর দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল আইলিগের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব তথা রাজস্থান ইউনাইটেডকে। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল সকলের। সেই ধারা বজায় রেখেই গত সোমবার বিকেলে গোয়ার বুকে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কেরালা (Kerala Blasters)। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল টুর্নামেন্টের নবাগত ফুটবল ক্লাব স্পোর্টিং ক্লাব দিল্লি। শেষ পর্যন্ত তিনটি গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কোরো সিংরা। টমাস টর্চজের ছেলেরা দাপুটে পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রাখলে ও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।
যারফলে দুই ম্যাচে জয় পয়েন্ট নিয়ে সুপার কাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই প্রশস্ত করে ফেলল কেরালা (Kerala Blasters)। তবে এবার হাতে মাত্র আর একটা ম্যাচ। যেখানে লড়াই করতে হবে পেট্র ক্র্যাটকির শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির সঙ্গে। এই ম্যাচে ও জয় পাওয়ার লক্ষ্য থাকবে নোয়া সাদাউদের। অন্যদিকে, কেরালা ব্লাস্টার্সকে (Kerala Blasters) আটকে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার লক্ষ্য থাকবে দেশের বানিজ্য নগরীর এই দলের। তবে এই ম্যাচের আগেই কেরালা দলকে কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখছে টিয়াগো আলভেসের চোট সমস্যা।
এই প্রসঙ্গে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডেভিড কাতলা বলেন, ‘ টিয়াগোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেরে ওঠা। অনুশীলনের সময় তাঁর পেশীর সমস্যা কিছুটা ছিল, তাই সময় বের করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তার ক্ষমতা জানি, মানসিকভাবে সে খুবই শক্তিশালী এবং সে আমাদের অনেক সাহায্য করবে।’ অর্থাৎ এবারের এই সিজনে তাঁর উপর যথেষ্ট ভরসা রাখছেন কোচ।


