গত মাসে সুপার কাপের গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাব। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে। সেই ম্যাচে কষ্টার্জিত ড্র হলেও শেষ পর্যন্ত গোল পার্থক্যের ভিত্তিতে সেমিফাইনালে স্থান করে নিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তারপর বেশ কিছুটা সময় পেয়েছিলেন দলের ফুটবলাররা। তবে সাময়িক কয়েকদিনের ছুটি কাটানোর পরেই ফের অনুশীলনে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল দলের ফুটবলারদের। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে নেমেছিল মশাল ব্রিগেড। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল আইএসএলের শক্তিশালী দল পাঞ্জাব এফসি।
শেষ পর্যন্ত দুইটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। গোল পান প্যালেস্টাইনের তারকা ফুটবলার মহম্মদ রশিদ থেকে শুরু করে কেভিন সিবিলে সহ সাউল ক্রেসপোর মতো ফুটবলাররা। তবে ফরোয়ার্ডের নিষ্ক্রিয়তা যথেষ্ট চিন্তায় রাখছে সকলকে। উল্লেখ্য, এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মরোক্কান তারকা হামিদ আহদাদকে স্কোয়াডেই রাখেননি অস্কার ব্রুজো। যা নিঃসন্দেহে হতবাক করেছিল সকলকে। তাঁর বদলে জাপানি তারকা হিরোশি ইবুসুকি প্রথম থেকেই এই ম্যাচ খেললেও গোল তুলে নিতে পারেননি। যা নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে সকলকে।
তার উপর গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের হেডকোচ অস্কার ব্রুজোর ডাগ আউটে না থাকা। আসলে পাঞ্জাব ম্যাচ চলাকালীন প্রথমার্ধের শেষের দিকেই কোচকে জোড়া হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি। যারফলে আসন্ন ফাইনাল ম্যাচে দর্শক আসনেই থাকতে হবে লাল-হলুদ হেডস্যারকে। এই স্প্যানিশ কোচের পরিবর্তে দায়িত্বে থাকবেন যুব দলের কোচ বিনো জর্জ। আসন্ন সুপার কাপ ফাইনালে তাঁর দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে আপামর ইস্টবেঙ্গল জনতা।
পাঞ্জাব ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘ আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হল মূল স্কোয়াডকে বজায় রাখা। হামিদ থেকে শুরু করে জয় গুপ্তারা ও প্রধান স্কোয়াডের অংশ। তবে হঠাৎ করেই ট্রেনিং সেশনে বেশকিছু ইঞ্জুরি এসেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনায় বদল আনতে হয়েছে। আমরা পাঞ্জাবের বিপক্ষে পরিকল্পনায় সাফল্য পেয়েছি।’ এছাড়াও মাঠের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ মাঠের অবস্থা ও বলতে হবে। আমাদের ম্যাচের সময়টা ঠিক কি রকম ছিল সেটাও দেখার বিষয়। হেডকোচ সহ আমি ও অন্যান্য সদস্যরা প্রায় তিনবার ম্যানেজমেন্টের কাছে গিয়ে মাঠে জল দেওয়ার কথা বলেছি। এমনকি আমি আগে ও বলেছি মাঠ যখন আদ্র রয়েছে তাহলে মাঠে জল দেওয়া হোক। তাছাড়া এটা দেশের অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট গুলোর একটি। যার মধ্যে আমরা সেমিফাইনাল খেলবো। তারপর মাঠের দিকে নজর দেওয়া হয়। এই অবস্থায় লড়াই করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা এই ম্যাচটি ভালো খেলেছি। ফলাফল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
