শহরের ফুটবল প্রেমীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মরসুমের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ম্যাচ, আইএফএ শিল্ড ২০২৫ ফাইনাল (IFA Shield Final 2025)। আর ফাইনালেই মুখোমুখি হতে চলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রধান। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। মাঠে লড়াইয়ের আগে থেকেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। একদিকে ইতিহাস, অন্যদিকে আধুনিকতা, দুই দলের মধ্যে টানটান উত্তেজনার এক মহারণ অপেক্ষা করছে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য।
তিন বছর পর আইএফএ শিল্ডের প্রত্যাবর্তন ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। তবে ফেরার সঙ্গেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফাইনালের আগের দিন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজো এবং দলের কোনও প্রথম সারির ফুটবলার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। পরিবর্তে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সহকারী কোচ বিনো জর্জ।
এই অনুপস্থিতি ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠলেও, বিনো জর্জ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “বিকেলে আমাদের টিম মিটিং রয়েছে, তাই কোচ আসতে পারেননি।”
ফাইনালে প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে বিনো জর্জ জানান, “মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এক দারুণ দল। আমরা তাদের সম্মান করি। তারা পুরো স্কোয়াড নিয়ে খেলছে, যা স্পষ্ট করে যে তারা এই টুর্নামেন্টকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত। এটা শুধু একটা ফাইনাল নয়, আরও একটা ডার্বি, ট্রফির জন্য লড়াই।”
উল্লেখ্য, ইস্টবেঙ্গল এর আগে আইএফএ শিল্ড জিতেছে ২৯ বার। ফলে ৩০তম শিল্ড জয়ের হাতছানি নিয়েই নামছে তারা। কোচ ব্রুজো এবং বিনো জর্জের নেতৃত্বে দল বেশ আত্মবিশ্বাসী। দলের সকল খেলোয়াড় ফিট, কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই।
বিধানসভার আগেই পটনায় শুরু অমিত বনাম লালু তরজা
বিশেষ নজরে আছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন জাপানি স্ট্রাইকার হিরোশি ইবাসুকি। আগামীকালের ডার্বিতেই সম্ভবত তার অভিষেক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বিনো জর্জ নিশ্চিত করে কিছু না বললেও বলেন, “হিরোশি শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি। সে জানে ডার্বির গুরুত্ব।” ফুটবল মহলের মতে, হয়তো দ্বিতীয়ার্ধে হিরোশিকে নামিয়ে মোহনবাগানকে চমকে দিতে পারেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো।
অন্যদিকে মোহনবাগান শিবিরেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। তারা ইউনাইটেড স্পোর্টসকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে। দু’দলের ফর্ম, স্কোয়াড ডেপথ ও পরিকল্পনা দেখলে এই মরসুমের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ডার্বি হতে চলেছে বলেই মনে করছেন প্রাক্তন ফুটবলাররা।
ডার্বি মানেই গ্যালারি ভর্তি দর্শক, আবেগে টইটম্বুর স্টেডিয়াম আর মাঠের লড়াইয়ে উত্তেজনার পারদ। আইএফএ শিল্ড হয়তো অতীতের মতো গ্ল্যামার নিয়ে ফেরেনি, কিন্তু এবারের ফাইনাল প্রমাণ করে দিচ্ছে টুর্নামেন্ট এখনও বাংলার ফুটবলে এক ঐতিহ্যের নাম।
সবশেষে, বিনো জর্জ বলেন, “এই টুর্নামেন্টের জন্য আমি আইএফএকে ধন্যবাদ জানাই। সুপার কাপের আগে এমন একটা মঞ্চ দরকার ছিল। ডার্বির মত ম্যাচে সেরা ফল আনাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর আমরাও চাই কোচ ব্রুজোর অধীনে একটা ট্রফি জিততে।”
Bino George react on IFA Shiled Final East Bengal vs Mohun Bagan SG