দশ বছর পর আবারও সাব-জুনিয়র জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ সাফল্য অর্জন করল বাংলা (Bengal Football)। আজ পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রী গুরু হর গোবিন্দ সাই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলার টিম ৩-০ গোলে হারালো দিল্লিকে। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ঝলমলে পারফরম্যান্সের পরিচয় দেওয়া সাগ্নিক কুণ্ডু এদিনও হ্যাটট্রিক করে চমক ছড়িয়েছেন।
ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকে বাংলার ফুটবলাররা আক্রমণাত্মক খেলার ছাপ রেখেছে। প্রথমার্ধেই বাংলার একের পর এক সুযোগ কাজে লাগায় সাগ্নিক কুণ্ডু। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি আরও দুইটি গোল করে দলকে সহজ জয়ে পৌঁছে দেন। কেবল তারই নয়, পুরো দল ঐক্যবদ্ধভাবে রক্ষণভাগে সুশৃঙ্খল ফুটবল উপস্থাপন করেছে, যার ফলে দিল্লি কোনও ধরনের প্রতিশোধ নিতে পারেনি।
বাংলার কোচ গৌতম ঘোষ বলেন, “এই সাফল্য আমাদের ফুটবলারদের কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের ফল। প্রতিটি খেলোয়াড়ই তাদের সেরাটা দিয়ে খেলেছে। আমরা এক দল হিসেবে আজকে সত্যিই গর্বিত।”
আইএফএ (ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) সচিব অনির্বাণ দত্ত চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “বাংলার এই সাফল্য আমাদের রাজ্য ফুটবলের জন্য অত্যন্ত গর্বের। যুব পর্যায়ে এমন মানসম্পন্ন ফুটবল দেখা খুবই আনন্দের।”
বাংলার ফুটবলের জন্য এই বছরটি ইতিমধ্যেই বেশ ফলপ্রসূ। বছরের শুরুতে সন্তোষ ট্রফিতে সাফল্য অর্জন করে দল ইতিবাচক সূচনা করেছিল। বছরের শেষ ভাগে এসে সাব-জুনিয়র জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে বাংলা ফুটবল আরও একবার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এই টুর্নামেন্টে বাংলা দল কেবল ফলাফল নয়, খেলোয়াড়দের দক্ষতা ও কৌশলের দিক থেকেও নজর কাড়েছে। কোচ গৌতম ঘোষের প্রশিক্ষণে দল শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং কৌশলগত খেলায় সমন্বয় দেখিয়েছে। এই সাফল্য ভবিষ্যতে বাংলার ফুটবলের যুব প্রতিভাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলার ফুটবল ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করল। দলে থাকা প্রতিটি খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং পরিচালকদের কঠোর পরিশ্রমই এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। বাংলার যুব ফুটবল এখন দেশের মানচিত্রে আবারও আলো ছড়াচ্ছে।


