বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলের প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার আরেক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আনোয়ার আলির (Anwar Ali) ট্রান্সফার বিতর্ক। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান, দুই শীর্ষ ক্লাবের টানাপোড়েনে পড়ে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির মামলা। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে ফেডারেশনের (AIFF) অ্যাপিল কমিটির টেবিলে। কিন্তু এতদিনেও মামলার কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ খেলোয়াড় এবার ফেডারেশনকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সুস্থ আছেন ইমরান! দেখা করার সুযোগ দেওয়া হল বোনকে
আনোয়ারের আইনজীবীর পাঠানো নোটিসে স্পষ্ট অভিযোগ, ফেডারেশনের অকারণ বিলম্ব খেলোয়াড়ের ভাবমূর্তি ও পেশাগত সম্মান ক্ষুণ্ন করছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলার কোনও চূড়ান্ত শুনানি হয়নি। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান উভয় পক্ষই নিজেদের বক্তব্য ফেডারেশনের সামনে পেশ করলেও সিদ্ধান্তহীনতা থেকে বেরোতে পারেনি এআইএফএফ।
এর মধ্যে মোহনবাগান বিষয়টি নিয়ে সরাসরি ফিফাকে চিঠি দেয়। ফিফা ফেডারেশনকে সতর্ক বার্তা পাঠানোর পর কিছুটা নড়াচড়া দেখা গেলেও অজানা কারণে পুনরায় মামলাটি অচলাবস্থায় আটকে গেছে বলে অভিযোগ। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ টন্ডনের নেতৃত্বাধীন অ্যাপিল কমিটি বারবার শুনানির উদ্যোগ নিলেও কমিটির সদস্য–সংকটের কারণে প্রতিবারই তা ভেস্তে গেছে।
৮ নভেম্বর সদস্য বিচারপতি অশোক ত্রিপাঠি নিজেকে মামলার শুনানি থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর বিচারপতি টন্ডন ১২ ও ১৩ নভেম্বর আনোয়ারের পক্ষের যুক্তি শোনার নির্দেশ দেন। এরপর ইস্টবেঙ্গলের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার কথা থাকলেও কোরাম অপূর্ণ থাকায় তা স্থগিত হয়ে যায় আবারও। অবশেষে ২৮ ও ২৯ নভেম্বর শুনানির নতুন তারিখ ঠিক হলেও কোরাম গঠনই হয়নি বলে জানা যায়। ফলে মামলাটি আবারও স্থবির।
আইনি নোটিসে আনোয়ার স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “এই মামলাটি অকারণ ঝুলে থাকায় আমার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অজ্ঞাত কারণে চূড়ান্ত শুনানি হচ্ছে না এবং এই অকারণ দেরির দায়ভার আমার নামের উপর এসে পড়ছে।”
মজার বিষয়, মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে আনোয়ার আলির বিতর্কিত যোগদানের পর পেরিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদও হাতে আছে মাত্র ছ’মাস। অথচ এখনও ট্রান্সফার বিতর্কের নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ এবং ক্লাব পরিকল্পনা উভয়ই ধোঁয়াশায়।
