আইএসএলের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে সরব হাবাস

Mohun Bagan Coach Antonio Lopez Habas

দেশের ক্লাব ফুটবলে অন্যতম সফল কোচ হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio López Habas)। আইএসএলের সূচনা কাল থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর সাফল্যের সাক্ষী দেশের সকল ফুটবলপ্রেমী মানুষ। আতলেতিকো দে কলকাতা থেকে শুরু করে এটিকে, এটিকে মোহনবাগান কিংবা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দলকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন তিনি। তিনবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলকে আইএসএলের শিল্ড জিতিয়েছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। তবে গত সিজনে বদলে গিয়েছিল তাঁর ঠিকানা।

Advertisements

সবুজ-মেরুন ছেড়ে বারাণসীর ইন্টার কাশীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন এই হাইপ্রোফাইল কোচ। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় চমক ছিল সকলের কাছে। একটা সময় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইজুমি আরাতা। তবে হাবাসের যোগদান নিঃসন্দেহে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যুক্ত করেছিল দলের অন্দরে। যার ফল ও মেলে হাতেনাতে। সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চার্চিল ব্রাদার্সের পরিবর্তে গতবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গন্য করা হয় ইন্টার কাশী ফুটবল দলকে। গত কয়েকদিন আগেই গোয়ার বুকে এবারের সুপার কাপের গ্ৰুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচ তথা নিজেদের অন্তিম ম্যাচ খেলেছিল আইলিগের এই দল।

   

তারপরেই বহু কাঙ্ক্ষিত আইলিগ ট্রফি হাতে পেয়েছে এই ফুটবল ক্লাব। সেই নিয়ে সেলিব্রেশনের মেজাজে দেখা গিয়েছিল দলের প্রাক্তন ও বর্তমান ফুটবলারদের। এছাড়াও পরবর্তীতে নিজের সোশ্যাল সাইট থেকে দলের হয়ে এবারের প্রি-সিজন শুরুর অপেক্ষার কথা ও জানিয়েছিল তিনি। যা নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছিল সকলের। কিন্তু এবারের আইএসএলের আয়োজন নিয়ে ও দেখা দিয়েছে ব্যাপক জটিলতা। আদৌও এই বছর দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা সেই নিয়ে ও দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।

Advertisements

সেই নিয়েই এবার সরব হলেন হাবাস। কিছু ঘন্টা আগেই নিজের সোশ্যাল সাইটে তিনি লেখেন, ‘ ভারতের সকল পেশাদার ফুটবলারদের প্রতি আমার নিঃশর্ত সমর্থন, যারা আমার মতো, এই খেলার অঙ্গ হিসেবে কষ্ট পাচ্ছেন। যদি ক্লাবগুলি তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে, তাহলে খেলোয়াড়, কোচ, সহকারী, ডাক্তার, ফিজিও, ম্যাসাজার এবং অন্যান্য সমস্ত কর্মীদের চুক্তি এবং বেতনের দায়িত্ব কে নেবে? আমি আরও জানতে চাই যে ভারতের লক্ষ লক্ষ ফুটবল সমর্থকদের কাছে কে ক্ষমা চাইবে, যারা এই পরিস্থিতির শিকার, যারা আর তাদের দল এবং খেলোয়াড়দের সাথে যোগাযোগ করতে এবং স্টেডিয়ামে সমর্থন করতে পারে না।’