দেশের প্রথম সারির ফুটবল ক্লাব গুলির মধ্যে অন্যতম একটি দল ছিল হায়দরাবাদ এফসি। একবার দেশের সেরা হওয়ার খেতাব ও ছিল তাঁদের ঝুলিতে। কিন্তু সেটা বজায় থাকেনি পরবর্তীতে। বিগত কয়েক মরসুম ধরেই দিশেহারা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল দলের। আগের সিজনে ও খুব একটা বদল দেখা যায়নি সেক্ষেত্রে। প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলের প্রথম থেকেই একাধিক ম্যাচে পরাজিত হতে হয়েছিল নিজামের শহরের এই ফুটবল ক্লাবকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ছিল সমর্থকরা। তবে দল যে শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াবে সেই নিয়ে আশাবাদী ছিল সকলে। এক্ষেত্রে ভারতীয় কোচ থাংবোই সিংটোর উপরেই ভরসা রেখেছিল হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্ট।
তবে সিজনের প্রথম থেকেই দলের ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে শেষ বেলায় দল গঠনের কাজ শুরু করার ফলে সেবার অনুশীলনের খুব একটা সুযোগ পায়নি একবারের আইএসএল জয়ীরা। মূলত দেশীয় ফুটবলারদের নিয়েই আইএসএল শুরু করতে হয়েছিল তাঁদের। পরবর্তীতে সময় এগোনোর সাথে সাথে দলের সঙ্গে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন বিদেশি ফুটবলাররা। তারপর চেন্নাইয়িন এফসিকে আটকে প্রথম পয়েন্ট পেয়েছিল একবারের আইএসএল জয়ীরা। তারপর অ্যাওয়ে ম্যাচে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে প্রথম জয়। যা নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন যুক্ত করেছিল ফুটবলারদের মধ্যে।
কিন্তু পরবর্তীতে একের পর এক ম্যাচে মিলেছিল হতাশা। যারফলে তলানিতে থেকেই শেষ হয়েছিল মরসুম। তবে শোনা যাচ্ছিল যে নয়া সিজনে হয়তো স্থান পরিবর্তন করতে পারে ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল দেশের রাজধানীর কথা। সেটাই হয়েছে এবার। যারফলে এই মরসুম থেকেই স্পোর্টিং ক্লাব দিল্লি নামে খেলতে চলেছে দল। এবার ও দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে চলেছে ভারতীয় ডিফেন্ডার অ্যালেক্স সাজিকে। এবারের এই ডুরান্ড কাপ শুরু হওয়ার বহু আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করেছিলেন অ্যালেক্স সাজি।
যেখানে জিম সেশনে নানাবিধ ট্রেনিং করার পাশাপাশি ফুটবল নিয়ে ও অনুশীলনরত অবস্থায় বেশকিছু ছবি আপলোড করেছিলেন তিনি। এবার দিল্লি দলের হয়ে রক্ষণভাগের কান্ডারী হয়ে ওঠার লক্ষ্য থাকবে এই ভারতীয় ফুটবলারের।