শেষ ষোলোতেই আটকে গেল ইন্টার মিলান। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভারতীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে বারোটায় ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের (FIFA Club World Cup) শেষ ষোলোর ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লাওতারো মার্টিনেজদের এই ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল লাতিন আমেরিকার শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় থিয়াগো সিলভাদের এই ফুটবল ক্লাব। এদিন দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে জার্মান কানো এবং হারকিউলেস পেরেইরা। তাঁদের করা দুইটি গোলেই আসে জয়। যা নিঃসন্দেহে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যুক্ত করবে দলের ফুটবলারদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ম্যাচের আগে থেকেই বিশেষজ্ঞদের কাছে হট ফেভারিট ছিল ইন্টার মিলান। বিশেষ করে মার্কাস থুরামের ফিরে আসা যে দলের আক্রমণভাগকে আরও মজবুত করবে সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগে থেকেই। কিন্তু ম্যাচ শেষে বদলে গেল সমস্ত কিছু। প্রথম তিন মিনিটের মাথায় কানোর গোলে এগিয়ে যায় ফ্লুমিনেন্স। তবে সময় এগোনোর সাথে সাথেই ক্রমশ চাপ সৃষ্টি করে সেই গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইন্টার মিলান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে ছিল লাতিন আমেরিকার এই ফুটবল দলটি। পরবর্তীতে অর্থাৎ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ও গোলের সহজ সুযোগ এসে গিয়েছিল উভয় দলের কাছে।
কিন্তু গোলের মুখ খোলা সহজ ছিল না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের অতিরিক্ত তিন মিনিটের মাথায় থুরামদের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়ে যান হারকিউলেস। তাঁর পর আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল না প্রতিপক্ষ দলের কাছে। তাছাড়া ব্রাজিলিয়ান তারকা থিয়াগো সিলভার জমাট বাঁধানো রক্ষণভাগ ভেদ করে গোলের মুখ খোলা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছিল ইউরোপের সেই দলের কাছে। হিসাব অনুযায়ী দেখলে গত আটটি ম্যাচ ধরেই অপরাজিত ছিল ব্রাজিলের এই ফুটবল ক্লাব। তবে এমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার সম্ভবনা খুব একটা হয়তো আন্দাজ করা সম্ভব ছিল না কারুর পক্ষে।
কিন্তু সেটাই হল শেষ পর্যন্ত। যারফলে আগামী ৫ই জুলাই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামবে ফ্লুমিনেন্স। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত হয়ে যাবে তাঁদের প্রতিপক্ষ ফুটবল ক্লাব।