খুব একটা বেশি সময়ের আগের কথা নয়। ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছিলেন বাঙালি লেফট ব্যাক পজিশনের ফুটবলার হীরা মন্ডল (Hira Mandal )। চলতি মরশুম শুরুর আগে হীরা ইস্টবেঙ্গলের থেকে যোগদান করেছিলেন বেঙ্গালুরু এফসিতে।
লাল হলুদ ছেড়ে বেঙ্গালুরু যাওয়ার সময় হীরা এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কেউ তাকে লোভীর তকমা দিয়েছিলেন, তো আবার কেউ পেশাদার ‘তকমা’দিয়েছিলেন তাকে।অবশ্য ক্লাব বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও তাড়াহুড়ো করেননি হীরা।ইস্টবেঙ্গলের তরফের উত্তরের অপেক্ষাও করেছিলেন তিনি।
তবে যে প্রত্যাশা নিয়ে হীরা মন্ডল বেঙ্গালুরু এফসিতে খেলতে গেছিলেন, সেই প্রত্যাশা মাফিক সুযোগ পাননি।তাই আইএসএলের মাঝপথে বেঙ্গালুরু এফসি ছাড়েন হীরা।তিনি যে সুনীল ছেত্রীর ক্লাবে খুব পরীক্ষিত হয়েছিলেন এমন নয়।তাই হয়তো জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডো শুরুর বেশ কিছু আগেই বেঙ্গালুরু এফসি ছেড়ে বাংলায় ফেরেন হীরা।
হীরা বেঙ্গালুরু ছাড়ার পর ময়দানে জোর গুঞ্জন তৈরী হয়েছিল তার ইস্টবেঙ্গলে প্রত্যাবর্তন করার ব্যাপারে।কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হীরাকে পছন্দ নয় তার।
বর্তমানে হীরাকে নেওয়ার দৌড়ে থাকা দুই ক্লাবের নাম চেন্নাইয়ান এফসি এবং নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।সূত্রের খবর অনুযায়ী এই দুই ক্লাবের মধ্যে হীরাকে নেওয়ার ব্যাপারে অনেক এগিয়ে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।এর আগেও এই পাহাড়ি ক্লাব চেয়েছিলো হীরাকে।বর্তমানে নর্থইস্ট ইউনাইটেডে গেলেই হয়তো বেশি খেলার সময় পাবে হীরা।এছাড়া হীরাকে দলে পেলে বিশেষ লাভবান হবে নর্থইস্ট।ইতিমধ্যে টানা দশ ম্যাচ হারের রেকর্ড গড়ে ফেলেছে এই ক্লাব।তাই হীরাকে পেলে লাভবান হবে এই ক্লাব।