নাটকীয় লড়াইয়ে জয় জার্মান জায়ান্টদের, শেষ আটে চ্যালেঞ্জ পিএসজি

মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে এক রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষী থাকল প্রায় ৬৫ হাজার দর্শক। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে (Flamengo) ৪-২ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের (FIFA Club World…

FC Bayern Munich qualify to FIFA Club World Cup Quater Final beat Flamengo

মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে এক রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষী থাকল প্রায় ৬৫ হাজার দর্শক। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে (Flamengo) ৪-২ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের (FIFA Club World Cup) কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ (FC Bayern Munich)। গোলের বৃষ্টিতে ভিজলো স্টেডিয়াম, আর ম্যাচে হিরো হয়ে উঠলেন হ্যারি কেন। যিনি করলেন জোড়া গোল। তবে, ফ্ল্যামেঙ্গোও লড়াই ছাড়েনি। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে তারা চেষ্টা করেছে জয়ের সারণিতে ফিরতে। তবুও শেষ হাসি হেসেছে ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাব বায়ার্ন।

ম্যাচের প্রথম বাঁশি বাজার পরেই আক্রমণে নামে বায়ার্ন। মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে পাওয়া বল ধরে দুর্দান্ত শট নেন জোশুয়া কিমিচ। সেই শট হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন ফ্ল্যামেঙ্গোর এরিক পুলগার। আত্মঘাতী এই গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব।

   

এই গোলের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের গোল হজম করতে হয় তাদের। তিন মিনিট পরেই কিমিচের পাস থেকে বল পেয়ে জাল কাঁপান হ্যারি কেন। ম্যাচের দশ মিনিটের মাথায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। তখন মনে হচ্ছিল, ফ্ল্যামেঙ্গো হয়তো একতরফা ভাবে ম্যাচ হারতে চলেছে।

কিন্তু ফ্ল্যামেঙ্গো প্রমাণ করে, তারা হাল ছাড়ার দল নয়। ৩২ মিনিটের মাথায় গার্সন দুর্দান্ত শটে পরাস্ত করেন ম্যানুয়েল ন্যুয়েরকে। ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ২-১। কিছুটা স্বস্তি মেলে ব্রাজিলিয়ান শিবিরে।

তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবার ঝটকা খেতে হয় ফ্ল্যামেঙ্গোকে। ৪১ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন লিয়ন গোরেৎস্কা। ফলে বিরতিতে যাওয়ার আগে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-১।

Advertisements

বিরতির পর বদলে যায় ফ্ল্যামেঙ্গোর ছন্দ। একের পর এক আক্রমণে বায়ার্ন ডিফেন্সে চাপ সৃষ্টি করে তারা। অবশেষে ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় ফ্ল্যামেঙ্গো, যা থেকে জর্জিনহো গোল করে ব্যবধান করে ৩-২। তখন মনে হচ্ছিল, ম্যাচে ফের নতুন করে উত্তেজনা ফিরে এসেছে।

কিন্তু বায়ার্নের আক্রমণের ধার তখনও থামেনি। ৭৩ মিনিটে কিমিচের দুর্দান্ত ক্রস থেকে হেডে গোল করেন হ্যারি কেন, যা ছিল তাঁর দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল। এটাই ক্লাব বিশ্বকাপে তাঁর তৃতীয় গোল।

এই জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের মুখোমুখি হতে চলেছে বায়ার্ন। শেষ বার এই দুই ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে, যেখানে ১-০ গোলে জিতেছিল বায়ার্ন। তবে সেই দিনের পিএসজি আর আজকের পিএসজি এক নয়। সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী লুই এনরিকের দল এবার অনেক পরিণত, অনেক শক্তিশালী।

FC Bayern Munich qualify to FIFA Club World Cup Quater Final