রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। বর্তমানে এই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলা হচ্ছে। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2024) দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি মুম্বাই ও তামিলনাড়ু। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন মুম্বাইয়ের অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর। তবে এরই মধ্যে রঞ্জি ট্রফির সূচি নিয়ে বড় বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।
শার্দুল ঠাকুরের মতে, বিসিসিআইকে আগামী বছরের রঞ্জি ট্রফির সময়সূচী পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ১০টি ম্যাচ খেলে খেলোয়াড়দের চোট হতে পারে।
“এটা খুব কঠিন কারণ আমরা তিন দিনের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছি, যা রঞ্জি ট্রফির মরসুমে আগে কখনও ঘটেনি। প্রোগ্রামটি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। খেলোয়াড়রা যদি আরও দুই মরসুম এভাবে খেলতে থাকে, তাহলে দেশের অনেক খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়বে। পরের বছর বিসিসিআইকে এটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং আরও বিরতি দিতে হবে।”
শার্দুল ঠাকুর বলেছেন, “আমার রঞ্জি ট্রফির দিনগুলোর কথা মনে আছে, যেখানে সাত-আট বছর আগে প্রথম তিন ম্যাচে তিন দিনের বিরতি ছিল, তারপর চার দিনের বিরতি ছিল এবং পাঁচ দিনের বিরতিতে নকআউট খেলা হতো। এ বছর আমরা দেখেছি সবগুলো ম্যাচের মধ্যে তিন দিনের ব্যবধান থাকে। দল যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ঘরোয়া ক্রিকেটাররা ১০ ম্যাচ খেলবে। এমনটা খুবই কঠিন। “
“এছাড়া গ্রুপে যখন নয়টি দল থাকত, তখন একটি দল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে বিরতি পেত। এখন একটি গ্রুপে মাত্র আটটি দল রয়েছে এবং একে অপরের সাথে খেলছে, তাই এই বিরতিও এখন নেই।” শার্দুল ঠাকুর মনে করছেন যে বর্তমান সূচি একজন ফাস্ট বোলারকে রিকভারির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছে না।
“একদম ১০০ শতাংশ কারণ মোহিত অবস্থি ষষ্ঠ ম্যাচেই চোট পেয়েছিল। টানা পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিল এবং ওর উপর অনেক চাপ ছিল। কারণ তুষার দেশপান্ডে তখন ভারত এ দলের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। বয়স ও কাজের চাপ অনুযায়ী একটি ম্যাচ খেলছিলেন ধাওয়াল কুলকার্নি। রয়স্টন ডায়াস নতুন খেলোয়াড়।”