অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হল মোলিনা বাহিনীর

একটা সময় যে দলটাকে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল সেই সবুজ-মেরুনই যেন হঠাৎ লিগ লড়াইয়ে খোঁড়াতে শুরু করেছে। আগের ম্যাচে মোলিনা (Jose Molina) ব্রিগেড পয়েন্ট খুইয়েছিল জামশেদপুরের…

একটা সময় যে দলটাকে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল সেই সবুজ-মেরুনই যেন হঠাৎ লিগ লড়াইয়ে খোঁড়াতে শুরু করেছে। আগের ম্যাচে মোলিনা (Jose Molina) ব্রিগেড পয়েন্ট খুইয়েছিল জামশেদপুরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মোহনবাগান (Mohun Bagan) পয়েন্ট খোয়াল ১০ নম্বরে থাকা চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC) বিরুদ্ধে। অমীমাংসিতভাবে শেষ হল মোহনবাগান-চেন্নাইয়িন ম্যাচ।

দীর্ঘদিন ধরেই ওপেন প্লে থেকে গোল না আসার সমস্যা ভোগাচ্ছে মোলিনা দলকে। মাঝমাঠে ভালো পাসিং হচ্ছে। বল ফাইনাল থার্ডে গেলেও গোল আসছে না। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল চেন্নাইয়িন ম্যাচেও। ৯৭ মিনিট সুযোগ পাওয়ার পরেও চেন্নাইয়িনের তথাকথিত দুর্বল রক্ষণ ভাঙতে পারলেন না। বরং বিশাল না থাকলে হয়তো চেন্নাই থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হত মোহনবাগানকে। অন্যদিকে মোহনবাগানের একসময়ের ঘরের ছেলে প্রীতম কোটাল চেন্নাইয়িনে যোগদান করাতে অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে এই দল।

   

মোহনবাগানের হেড কোচ হোসে মোলিনা মঙ্গলবার চেন্নাইয়িন এফসির সঙ্গে ড্র করার প্রসঙ্গে বলেছে,” জামশেদপুর এফসির ম্যাচের পর খুব বেশি সময় ছিল না পুনরুদ্ধারের জন্য এবং আমি মনে করেছি আজকের জন্য এই ফর্মেশনটি সঠিক ছিল। আমি মনে করি এটা কাজ করেছে। কিন্তু সত্যি বলতে ফাইনাল পাস এবং ফিনিশিংয়ে আমরা যথেষ্ট সফল হতে পারিনি গোল করার জন্য। তবে আমি মনে করি আমরা মাঠে পুরোপুরি আধিপত্য দেখিয়েছি। “

এদিন সম্পূর্ণ অন্য ফর্মেশনে খেলে মোহনবাগান। জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কমিংস, লিস্টন কোলাসো এবং মানভীর সিংকে বদলি করে মাঠে নামান ডিমিত্রিওস পেট্রাটোস, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, অভিষেক সুর্যবংশী এবং সুহেল ভাটকে।

দুটি দলই ম্যাচের শুরু থেকেই একটি সতর্ক পদ্ধতি গ্রহণ করে। প্রতিপক্ষের জন্য খালি জায়গা এড়িয়ে চলে এবং দৃঢ় প্রতিরক্ষা কাঠামো বজায় রাখে। দ্বিতীয়ার্ধেও মেরিনার্সরা ৭১% বল দখল করে এবং খেলায় আধিপত্য বজায় রাখে। কিন্তু তবে তারা কোন গোল করতে সক্ষম হয়নি এবং মরশুমের দ্বিতীয় ড্র করে মাঠ ছাড়ে।

মোলিনা বলেন,”এই এক পয়েন্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল না যখন আমরা এখানে এসেছিলাম। তবে ঠিক আছে এটা আরেকটি পয়েন্ট। আমরা কাজ করে যাবো এবং পরবর্তী ম্যাচের কথা ভাবতে শুরু করবো।”

অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে লিগ শিল্ড প্রসঙ্গে মোলিনা বলেন,”আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো। আপনারা জানেন যে আমরা জানতাম লিগ শিল্ড জেতা সহজ হবে না। এটা কখনোই সহজ হয় না এবং এখনও আমাদের দ্বিতীয় দলের সঙ্গে কিছু পয়েন্টের পার্থক্য রয়েছে।”

এরপর মোহনবাগান ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২৭ তারিখ মুখোমুখি হবে। কি হবে সেই ম্যাচের ফলাফল, চোখ থাকবে সেই দিকে।