ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল রবিবার (৬ জুলাই ২০২৫) তাদের দ্রুতগতির বোলার গাস অ্যাটকিনসনকে (Gus Atkinson) ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচের জন্য দলে যোগ করেছে। এই ম্যাচটি বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) থেকে লর্ডসে শুরু হবে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় পেলেও, দ্বিতীয় টেস্টে এজবাস্টনে ভারতের কাছে ৩৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। এই পরাজয়ের ফলে সিরিজ ১-১ সমতায় রয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেললেও, ভারতের শুভমান গিলের ডাবল সেঞ্চুরি এবং আকাশ দীপের ১০ উইকেটের দাপটে তারা হারের মুখ দেখে। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দলের ম্যানেজমেন্ট নতুন কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে, এবং গাস অ্যাটকিনসনের অন্তর্ভুক্তি এই পরিকল্পনার অংশ।
২৭ বছর বয়সী গাস অ্যাটকিনসন, যিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছিলেন, তিনি এখন পুনর্বাসন শেষ করে দলে ফিরেছেন। তিনি ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে ১২/১০৬ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে সেরা অভিষেক রেকর্ড গড়েছিলেন। ১২ টেস্টে ৫৫ উইকেট নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন। জোফ্রা আর্চার, যিনি দ্বিতীয় টেস্টে দলে ফিরেছেন, এবং অ্যাটকিনসনের উপস্থিতি ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণকে শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, মার্ক উড এবং অলি স্টোনের ইনজুরির কারণে ইংল্যান্ডের বোলিং ইউনিট এখনও চ্যালেঞ্জের মুখে।
ইংল্যান্ডের দল: বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জোফ্রা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, জ্যাকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, স্যাম কুক, জাক ক্রলি, বেন ডাকেট, জেমি ওভারটন, অলি পোপ, জো রুট, জেমি স্মিথ, জশ টাং, ক্রিস ওকস।
অ্যাটকিনসনের সংযোজন ইংল্যান্ডের বোলিং বৈচিত্র্য বাড়াবে, বিশেষ করে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে। শুভমান গিল, রিশাভ পান্ত এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো ব্যাটারদের থামাতে অ্যাটকিনসনের গতি এবং নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে, দলে জোফ্রা আর্চার, ব্রাইডন কার্স, জেমি ওভারটন এবং স্যাম কুকের মতো পেসার থাকায়, ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য একাদশ নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ হবে। অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম সম্ভবত পিচের অবস্থা এবং ভারতের ব্যাটিং শক্তির উপর ভিত্তি করে তাদের কৌশল ঠিক করবেন।
লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের জন্য জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সিরিজটি ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। ভারতের নতুন অধিনায়ক শুভমান গিলের নেতৃত্বে দলটি দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, এবং ইংল্যান্ডের জন্য এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অ্যাটকিনসনের ফিরে আসা ইংল্যান্ডের সমর্থকদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে, এবং তারা আশা করছেন যে এই তরুণ পেসার তাদের দলকে সিরিজে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।