গত এপ্রিল মাসে এক নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যারফলে প্রায় একুশ বছর পর সর্বভারতীয় স্তরের কোনও ফুটবল লিগ ট্রফি এসেছে মশাল ব্রিগেডের ঘরে। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশির আমেজ রয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। বছর একুশ আগে শেষ বারের মতো জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের ছেলেরা। তারপর ও বেশ কয়েকবার এই ট্রফি জয়ের সুযোগ এসেছিল ফুটবলারদের কাছে। কিন্তু সেই আশা পূরণ করতে পারেনি পুরুষ দল।
কিন্তু এবার মহিলা দলের মধ্যে দিয়ে শাপমুক্তি ঘটেছে ময়দানের এই প্রধানের। বলাবাহুল্য, শেষ কয়েক বছর ধরেই একেবারে তথৈবচ পারফরম্যান্স থেকেছে ইস্টবেঙ্গলের পুরুষ দলের। আগের মরসুমে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার সেই খেতাব ও ধরে রাখা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই। যারফলে খালি হাতেই শেষ হয়েছিল মরসুম। অপরদিকে, সময় যত এগিয়েছে ততই লাল-হলুদ জনতার মুখে হাসি ফুটিয়েছে অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা। খুব সহজেই জাতীয় লীগ ঘরে তুলেছে মশাল ব্রিগেড।
সেই আমেজ কাঁটার আগেই ফের ট্রফি জয়ের হাতছানি ময়দানের এই প্রধানের। দিন কয়েক আগেই কন্যাশ্রী কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সুলঞ্জনা রাউলরা। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল সার্দান সমিতির সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত এরিয়ানের মাঠে দুইটি গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছে সকল সমর্থকদের। যারফলে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শ্রীভূমির সঙ্গে ট্রফি জয়ের ম্যাচ খেলার কথা এই ফুটবল দলের। কিন্তু এবার সেই ম্যাচ খেলা নিয়েই দেখা দিল জটিলতা। গত শনিবার এই নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ক্লাবের তরফে।
যেখানে বলা হয়েছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের আগে ফাইনাল ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে না ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী সিজনে থেকে দিনক্ষণের পাশাপাশি ম্যাচের ভেন্যু সম্পর্কে আগে থেকে অবগত না করলে আর হয়তো কন্যাশ্রী কাপে অংশ নেবে না লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই সাথে এবারের কলকাতা ফুটবল লিগের প্রসঙ্গ ও উঠে এসেছে ক্লাবের তরফে।