বহু আশা নিয়ে গত ফুটবল সিজন শুরু করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের দলের সঙ্গে যুক্ত করা হলেও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে কোচ বদলের পর ঘুরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি দেখা দিলেও সেটা বজায় থাকেনি। চোট আঘাতের পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার জর্জরিত ছিল ময়দানের এই প্রধান। সেই সবদিক মাথায় রেখেই নতুন মরসুমের জন্য ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছিল ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে বিদেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি দেশীয় প্রতিভাদের দিকে ও বাড়তি নজর ছিল লাল-হলুদের।
তার মধ্যে অন্যতম ছিল এডমুন্ড লালরিন্ডিকা (Edmund Lalrindika)। গত সিজনে আইলিগের ফুটবল ক্লাব ইন্টার কাশীর হয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। আকর্ষণীয় পারফরম্যান্স দেখেই তাঁকে ফিরিয়ে আনতে তৎপর ছিল ইস্টবেঙ্গল। সেটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। মাস খানেক আগেই সোশ্যাল সাইটে মিলেছিল তাঁর ফিরে আসার ইঙ্গিত। তারপর থেকেই সরকারিভাবে এডমুন্ড লালরিন্ডিকার যোগদানের ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। অবশেষে আজ নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে এই মিজো ফুটবলারের ফিরে আসার কথা জানিয়ে দিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ফুটবল ক্লাব।
সেই অনুযায়ী এবার তিনটি মরসুমের চুক্তিতে তাঁকে দলে টেনে নিল লাল-হলুদ শিবির। কলকাতা ময়দানের এই প্রধানে ফিরে আসতে পেরে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত এই ভারতীয় ফরোয়ার্ড। ইস্টবেঙ্গলে যোগদানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখে এসেছি। এখন সেটা সম্ভব হয়েছে। এখানে আমার কিছু অসমাপ্ত কাজ আছে। আমার বিশ্বাস আমি সেগুলি করতে পারব। আমি আমার সর্বস্ব দিতে চাই, এই ক্লাবের জন্য গোল করার পাশাপাশি ডার্বি এবং টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। বছর পাঁচেক আগে আমি যখন এই দলের হয়ে খেলতাম ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা তখন আমাকে অনেক ভালোবাসা দেখিয়েছিল। আমি আবারও নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। জয় ইস্টবেঙ্গল!”
এই মিজো ফরোয়ার্ডের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলবে দলের আপফ্রন্টকে। সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের হেড অফ ফুটবল তথা থাংবোই সিংটো বলেন, “এডমুন্ডের প্রত্যাবর্তন আমাদের জন্য এক বিরাট পাওনা। তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড, বহুমুখী প্রতিভা ইস্টবেঙ্গলের নীতি-নৈতিকতার সাথে যথেষ্ট মানানসই। সমর্থকরা তাঁকে যথেষ্ট পছন্দ করে। আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি আমাদের ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।”