অনবদ্য ফুটবলের মধ্য দিয়ে গত সিজন শেষ করেছিল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল (East Bengal Women’s Team)। বাংলার সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট তথা কন্যাশ্রী কাপ জয় করার পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ ও জয় করেছিল মশাল কন্যারা। সেই সুবাদে এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ এসেছে লাল-হলুদের মহিলা দলের। এক কথায় যা বিরাট বড় পাওনা ছিল সকলের কাছে। সূচি অনুসারে গত সোমবার বিকেলে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল কম্বোডিয়ার চ্যাম্পিয়ন দল পেন ক্রাউন এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল সুইটি দেবীরা। শেষ পর্যন্ত একটি গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল মশাল ব্রিগেড।
Also Read | মোহনবাগানে খেলার স্বপ্ন! প্রথম ডিভিশন লিগে নিজেকে প্রমাণ করছেন শ্যাম থাপা
যারফলে পুরুষ দলের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখল মহিলা দল। এক কথায় যা ইতিহাস। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। আগামী দিনে আরও কঠিন হতে চলেছে লড়াই। সেটা ভাল মতই জানেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। সেইমত প্রস্তুত ও হয়তো করবেন গোটা দলকে। হিসাব অনুযায়ী আগামী ৩১শে আগস্ট হংকংয়ের কিচি এফসির মুখোমুখি হবে মশাল কন্যারা। সেদিকেই এখন নজর থাকবে সকলের। কিন্তু তার আগে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর যথেষ্ট ফুরফুরে মেজাজে দলের ফুটবলাররা। কিছু ঘন্টা আগেই নিজের সোশ্যাল সাইট থেকে সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি আপলোড করেন সুইটি দেবী। যেখানে কম্বোডিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখতে দেখা যায় তাঁকে সহ সতীর্থ মহিলা ফুটবলারদের।
Also Read | এএফসির প্রিলিমিনারী রাউন্ডে নেই লাল-হলুদের এই ফুটবলার, কিন্তু কেন?
এছাড়াও এদিন ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলের সঙ্গে দেখা করেন সেখানকার রাষ্ট্রদূত ভানলালভানা বাউইটলুং। তাঁর হাতে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি ও তুলে দেন মহিলা দলের কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ। মনে করা হচ্ছে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতামত বিনিময় টুর্নামেন্টে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়তো অনেকটাই সহযোগিতা করবে। এখন সেদিকেই নজর থাকবে প্রত্যেকের। উল্লেখ্য গতবারের তুলনায় এবার এএফসির কথা মাথায় রেখে আরও শক্তিশালী দল গড়তে বদ্ধপরিকর ছিল ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। সেইমতো একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের যুক্ত করা হয়েছিল দলের সঙ্গে।
গত ওমেন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ফাজিলা ইকওয়াপুথ থেকে শুরু করে মাওরিন টোভিয়া ওকপালার মতো বিদেশি ফুটবলারদের আনা হয়েছিল দলে। এমনকি জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়দের ও রাখা হয়েছে স্কোয়াডে। তাঁদের নিয়েই এবার সাফল্য পেতে বদ্ধপরিকর ইস্টবেঙ্গল।