IWL 2025: জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল

জাতীয় লিগে (IWL 2025) এবার দারুন ছন্দে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মহিলা (East Bengal Women) ফুটবল দল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার ওমেন্স লিগের পরবর্তী অ্যাওয়ে ম্যাচে সেতু…

East Bengal Women

জাতীয় লিগে (IWL 2025) এবার দারুন ছন্দে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মহিলা (East Bengal Women) ফুটবল দল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার ওমেন্স লিগের পরবর্তী অ্যাওয়ে ম্যাচে সেতু এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৪-২ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। ইস্টবেঙ্গল দলের হয়ে এদিন জোড়া গোল পান এলশাদ্দাই আচেম্পং। পাশাপাশি গোল পান যথাক্রমে রেষ্টি নানজিরি এবং সৌম্যা গুগুলথ। অপরদিকে সেতু এফসির হয়ে গোল করেন যথাক্রমে আমিনা নাবাবি এবং হাদিজাহ নন্দগো। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।

Also Read | রোনাল্ডোর বিয়ে না করার আসল কারণ ফাঁস 

   

এই ম্যাচ জয়ের সুবাদে ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগের শীর্ষস্থান ধরে রাখল মশাল কন্যারা। তাঁদের ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলছে দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব গোকুলাম কেরালা এফসি। যদিও তাঁদের থেকে এক ম্যাচ কম খেলে এক পয়েন্টের পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যা নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে দলের সকল ফুটবলারদের। বলাবাহুল্য, এটি অ্যাওয়ে ম্যাচ থাকলেও গোলের মুখ খুলতে খুব একটা সমস্যা হয়নি লাল-হলুদের। ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আচেম্পং। তাঁর শটে বাঁ দিকের কোন থেকে বল চলে যায় গোলের মধ্যে।

Also Read | বাংলাদেশ ম্যাচের আগে ব্র্যান্ডনের জায়গায় এই ফুটবলার

ঠিক মিনিট দশেকের মধ্যেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। এবার প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের টেক্কা দিয়ে গোল পোস্টের থেকে সামান্য দূরত্বের মধ্যে দিয়ে বাজিমাত করে যান ঘানার এই মহিলা ফরোয়ার্ড। যা নিঃসন্দেহে চাপে ফেলে দিয়েছিল প্রতিপক্ষ দলকে। তবে ব্যবধান কমাতে খুব একটা সময় লাগেনি সেতু এফসির। ম্যাচের মাত্র আঠারো মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণে উঠে এসে লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদের টেক্কা দিয়ে বল গোলে ঠেলে দিয়ে যান আমিনা। তবে সেতু এফসির ছন্দে ফেরার আগেই প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে এসে তৃতীয় গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল।

প্রতিপক্ষের গোল পোস্ট লক্ষ্য করে দুরপাল্লার শট নিয়েছিলেন রেষ্টি নানজিরি। যার কোনও জবাব ছিল না সেতু এফসির গোলরক্ষকের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমার্ধের শেষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় মশাল ব্রিগেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় নান্দিগোর গোলে ব্যবধান কমানো সম্ভব হলেও সেটা সেতু এফসির ম্যাচে ফেরার জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষের দিকে সৌম্যা গুগুলথের গোল আসতেই ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায় প্রতিপক্ষ দলের।