লিগের রঙ লাল-হলুদ। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে কল্যাণী স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা (East Bengal Women’s Team)। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলে মশাল কন্যারা। দলের হয়ে এদিন জয়সূচক গোলটি করে যান সৌম্যা গুগুলথ। যারফলে আগামী গোকুলাম কেরালা ম্যাচের আগেই খেতাব নিশ্চিত করে ফেলল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। দলের এমন সাফল্যে খুশির আমেজ বইতে শুরু করেছে সমর্থকদের মধ্যে। বলাবাহুল্য, এবারের ওমেন্স লিগের শুরু থেকেই অভূতপূর্ব পারফরম্যান্স ছিল সুইট দেবীদের।
কিকস্টার্ট এফসিকে দুই গোলে হারিয়ে এবারের এই ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল আশালতা দেবীরা। পরবর্তীতে হোপস থেকে শুরু করে নিতা ফুটবল অ্যাকাডেমি হোক কিংবা সেতু এফসি। প্রত্যেকটি দলের বিপক্ষেই সহজ জয় ছিনিয়ে নিতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। মাঝে কেরালার শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব গোকুলাম কেরালা এফসির কাছে পরাজিত হতে হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি লাল-হলুদের। যার ফলে সহজেই টুর্নামেন্টের অন্যান্য দলগুলিকে পিছনে ফেলে লিগ জয়ের দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল।
তাঁদের ধারে কাছে ছিল না সেরকম কোনও দল। বিশেষ করে গত মাসে হোপস এফসির বিপক্ষে বিরাট ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর লিগ ঘরে আসা ছিল কার্যত সময়ের অপেক্ষা। ম্যাচ বাকি থাকলেও সকলকে টেক্কা দিয়ে খেতাব জয়ের থেকে মাত্র ৩ পয়েন্ট দূরে ছিল ইস্টবেঙ্গল। অবশেষে আজ কল্যাণীর বুকে সৃষ্টি হল এক নতুন ইতিহাস। ভারত সেরা হিসেবে এবার বিবেচিত হল লাল-হলুদ ব্রিগেড। বলাবাহুল্য, এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে ধরা দিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। তবে গোলের মুখ খোলা খুব একটা সহজ ছিল না তাঁদের পক্ষে। তবে ৬৮ মিনিটের মাথায় গোল তুলে নিতে ভুল করেননি সৌম্যা।
পরবর্তীতে আর ও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও সেটা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। যারফলে একটিমাত্র গোলের ব্যবধানেই আসে জয়। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে গোকুলাম কেরালার জার্সিতে এই খেতাব জয় করেছিলেন সৌম্যা। এবার ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সৃষ্টি করলেন ইতিহাস।