অনেক দিন পর ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) খেলা মনে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল সুলভ। অভিজ্ঞ স্প্যানিশ কোচের (Carles Cuadrat) হাতে পড়ে বদলে গিয়েছে দলের মনোভাব। বিগত কয়েক মরসুমে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগা দলটির মধ্যে তিনি সঞ্চারিত করতে পেরেছেন নতুন উদ্যম।
হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ক্লেটন সিলভা বলেছিলেন, ‘দলের কোচ এবং কোচিং স্টাফ পুরো বদলে গিয়েছে। এই বদল হয়তো ভালোই জন্যই হয়েছে।’ ম্যাচ জেতার পিছনে ফুটবলারদের হয়তো মুখ্য ভূমিকা থাকে। কিন্তু পর্দার আড়ালে থেকে নেপথ্য কারিগর যে কোনো দলের কোচ। একজন কোচ তার দলের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে তার আদর্শ উদাহরণ কার্লোস কুয়াদ্রত।
গত মরসুমে এক বা একাধিক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ইস্টবেঙ্গল ফুটবল প্রেমীদের কাছে অচেনা। এবার পিছিয়ে পর ম্যাচ জিতছে ইস্টবেঙ্গল। ফুটবলাররা লড়াই দিচ্ছে। এটা লাল হলুদ ব্রিগেডের পরিচিত মানসিকতা। ক্লাবের এই দিকটির জন্য হয়তো ফ্যান হয়েছেন অনেকে।
একটি পরিসংখ্যান চোখে পড়ার মতো। শেষ ২০১৯-২০ মরসুমে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। আই লীগের ক্লাব ট্রাউ এফসির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। পরে গোল পরিশোধ, সর্বোপরি ম্যাচ জয় (৪-২)। এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লীগে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ার পর খেলায় ফিরে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত জিতে ম্যাচ ছেড়েছিল দল (২-১)।