ডার্বির রঙ লাল-হলুদ। অপেক্ষার অবসান। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল মশাল ব্রিগেড। এদিন লাল-হলুদ জার্সিতে জোড়া গোল করলেন গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকোস। অন্যদিকে, মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান কমিয়ে ছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। একটি গোলের ব্যবধানে ডার্বি জয় করে পরবর্তী পর্যায়ে চলে গেল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।
এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে মোহনবাগান সকলের হট ফেভারিট থাকলেও এদিন দেখা গেল অন্য ছবি। প্রথম মিনিট থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিল ইস্টবেঙ্গল দল। এডমুন্ড লালরিন্ডিকা থেকে শুরু করে মিগুয়েল ফিগুয়েরা, সুযোগ বুঝে ঘন ঘন আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন দলের এই দুই ফুটবলার। প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকোস। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলতে তৎপর ছিল সবুজ-মেরুন। কিন্তু গোলের মুখ খোলা খুব একটা সহজ ছিল না তাঁদের জন্য। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। তিনি শট নিলেও স্কোর লাইন বদল করা সম্ভব হয়নি।
তারপর ৫২ মিনিটে মহেশকে বল বাড়িয়ে দেন মিগুয়েল। সেই বল ধরে তিনি বাড়ান দিমিত্রিয়সের উদ্দ্যেশ্য। সেই বলে টাঁচ লাগিয়ে বল জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি এই গ্ৰীক ফরোয়ার্ড। যারফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এমনকি নিজের দ্বিতীয় গোলের পর সেলিব্রেশনের সময় জার্সি খোলায় হলুদ কার্ড দেখেন লাল-হলুদের দিমি। তারপর ৫৮ মিনিটে ডান দিক থেকে কর্নার নেন লিস্টন। তাঁর ভাসানো বল ম্যাকলারেন শুট নিলেও গোল লাইন সেভ করে স্কোর লাইনে দাপট বজায় রাখেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার কেভিন সিবিলে। এসবের মাঝেই ম্যাচের ৬৮ মিনিটের মাথায় গোল করে যান অনিরুদ্ধ থাপা। ব্যবধান কমানোর পর থেকেই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল মোহনবাগান।
তারপর ৭০ মিনিটে ডিফেন্ডার টম অলড্রেডের পরিবর্তে মাঠে আসেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। এছাড়াও অনিরুদ্ধ থাপার পরিবর্তে আসেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তাঁদের উপস্থিতিতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল সবুজ-মেরুন। ৭৮ মিনিটের মাথায় ফের গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল মশাল ব্রিগেড। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেননি দলের ফুটবলাররা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত এই ফলাফল থাকার পর অতিরিক্ত ৬ মিনিট সময় সংযুক্ত করা হয়েছিল ম্যাচ রেফারি তরফে। ঘনঘন আক্রমণ করেও আর ম্যাপচ ফিরতে পারেনি মোহনবাগান।