East Bengal: নতুন বিদেশি নিয়েও এল না জয়, হারের হ্যাট্রিক লাল-হলুদের

নতুন বছরে হারের হ্যাট্রিক ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। গত দুইটি ম্যাচে মুম্বাই সিটির পাশাপাশি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল ময়দানের এই…

FC Goa vs East Bengal

short-samachar

নতুন বছরে হারের হ্যাট্রিক ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। গত দুইটি ম্যাচে মুম্বাই সিটির পাশাপাশি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল ময়দানের এই প্রধানকে। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিল ক্লেটন সিলভাদের। সেই মর্মেই এদিন অ্যাওয়ে ম্যাচে শক্তিশালী এফসি গোয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই ফুটবল ক্লাব। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে পরাজিত হয় মশাল ব্রিগেড। এদিন গোয়া শিবিরের হয়ে একটি মাত্র গোল করে যান ব্রিসন ফার্নান্দেজ। এদিন ও তাঁর গোলেই ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করল গোয়া শিবির।

   

বলাবাহুল্য, এদিন ম্যাচের শুরু থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা দিলেও প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটের মাথায় একটি কর্নার আদায় করে গোয়া শিবির। সেই ভাসানো বল হেড করে গোলে ঠেলে দেন ব্রিসন। যার কোনও জবাব ছিল না লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদের কাছে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে আসতে দেখা গিয়েছিল পিভি বিষ্ণু থেকে শুরু করে দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসদের। কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষেই। অপরদিকে, পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে দ্বিতীয় গোল তুলে নেওয়ার সুযোগ এসে গিয়েছিল ইকের গ্যারেক্সোনাদের কাছে।

কিন্তু সেটা ও সম্ভব হয়নি। যারফলে প্রথমার্ধের শেষে একটিমাত্র গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে গোয়া শিবির। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ছিলেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজন‌‌‌। সেইমতো আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভাকে মাঠে নামান তিনি। সেক্ষেত্রে প্রথমার্ধের তুলনায় দল আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেও গোলের মুখ খোলা একেবারে সম্ভব হয়নি। এদিন প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ও দাপিয়ে খেলেন‌ ভেনেজুয়েলার তারকা ফরোয়ার্ড রিচার্ড সেলিস।

তাঁর পারফরম্যান্স সহজেই মন জয় করতে শুরু করেছে সমর্থকদের। কিন্তু গোল ছাড়া যে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয় সেটা সকলের জানা। এদিন গোটা ম্যাচ জুড়ে একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের এই নবাগত বিদেশি ফুটবলার। কিন্তু ফিনিশ করা সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষেই। ম্যাচের অন্তিম কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষের বক্সে হানা দিয়ে গোলমুখী শট ও নিয়েছিলেন সেলিস। কিন্তু ব্যাপক দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দেন গোয়ার গোলরক্ষক ঋত্বিক তিওয়ারি। সেজন্য অনায়াসেই আসে জয়।