সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে আইএসএলে এখনও অনিশ্চিত লাল-হলুদ

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রমশ দুরত্ব বাড়ছে ইস্টবেঙ্গল এবং ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের। দীর্ঘদিন ধরে ক্লাব কর্তা এবং বিনিয়োগকারীদের মতবিরোধ চলছে। বিভিন্ন সময়ে তা মেটানোর চেষ্টা হলেও এখনও…

সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে আইএসএলে এখনও অনিশ্চিত লাল-হলুদ

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রমশ দুরত্ব বাড়ছে ইস্টবেঙ্গল এবং ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের। দীর্ঘদিন ধরে ক্লাব কর্তা এবং বিনিয়োগকারীদের মতবিরোধ চলছে। বিভিন্ন সময়ে তা মেটানোর চেষ্টা হলেও এখনও পর্যন্ত সমাধানসূত্র অধরা। শনিবারও এই নিয়ে দফায় দফায় কথা চলে দুই পক্ষের মধ্যে। শ্রী সিমেন্টের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্ট ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনায় এখনও কোনো সমাধানসূত্র মেলেনি। শোনা যাচ্ছে মূলত দুটো ইস্যুতে সমস্যা-

১. ট্রান্সফার অব রিয়াল প্রপার্টি: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তাঁবু-মাঠ-গ্যালারি সবকিছু শ্রী সিমেন্টকে দিতে হবে। ক্লাবের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই সব কিছু ব্যবহারের জন্য সেনার অনুমতি প্রয়োজন। বিনিয়োগকারী সংস্থার বক্তব্য, সেনার কাছে নো অবজেকশন লেটার (এনওসি) দিতে হবে ক্লাবকে। তা মানতে নারাজ লাল-হলুদ কর্তারা।

২. মেম্বারশিপ: সদস্যদের সংখ্যা ইনভেস্টরকে জানাতে রাজি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কিন্তু সদস্যদের যাবতীয় তথ্য (নাম, ঠিকানাসহ সঠিক পরিচয়পত্র) জানাতে নারাজ তারা। তবুও এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই নরম সুর কর্তাদের। কিন্তু প্রথম বিষয়টি মানতে তারা অনড়।

সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে আইএসএলে এখনও অনিশ্চিত লাল-হলুদ
ইস্টবেঙ্গল- আইএসএলের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো না মিটলে চুক্তি জট আদৌ সমাধান হবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে ইনভেস্টরের দাবি, চুক্তি মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমেই পরিমার্জিত চুক্তির খসড়া ও চূড়ান্ত চুক্তিপত্র তৈরি হয়েছে। ক্লাব যদি এখন বেঁকে বসে তাহলে চূড়ান্ত চুক্তিপত্র পাঠানো সম্ভব নয়। ফলে আসন্ন ইস্টবেঙ্গল আদৌ ভারতের প্রিমিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্ট আইএসএল খেলবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেল। আগামী ১৬ অগাস্ট ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের শেষ দিন। ফলে তার আগে ঝামেলা না মিটলে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা অনিশ্চিত।

Advertisements

শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙুর অবশ্য স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে গত পাঁচদিন আগেই যে চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছিল সেটাই চূড়ান্ত চুক্তিপত্র হিসেবে গন্য হবে । চুক্তিপত্রে নতুন করে আর বদল সম্ভব নয়। ফলে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা শর্ত শিথিল করার আর্জি জানালেও তা একপ্রকার অসম্ভব বলেই ধরে নেওয়া যায়।