গতবছর অনবদ্য পারফরম্যান্স ধরে রেখে কন্যাশ্রী কাপ (Kanyashree Cup) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। সেই ধারা বজায় রয়েছে এখনো। প্রথম ম্যাচে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স দলকে দশের ও বেশি গোলে পরাজিত করেছিল ময়দানের এই প্রধান। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্টবেঙ্গল পুলিশ পুলিশের মুখোমুখি হয়েছিল সুলঞ্জনারা। নির্ধারিত সময়ের শেষে ৭ গোলে সেই ম্যাচ জিতে নেয় ময়দানের এই প্রধান।
পরবর্তীতে নিজেদের ঘরের মাঠে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘের বিপক্ষে গোলশূন্যভাবে ড্র করলেও পরবর্তীতে আবারও জয়ের সরনীতে ফিরল ময়দানের এই প্রধান। আজ ময়দানে আরেক প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল লাল-হলুদের মহিলা দল। নির্ধারিত সময়ের শেষে বিরাট ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নিল দল।
যারফলে, চার ম্যাচ খেলে মোট দশ পয়েন্ট তুলে নিল দল। গত ম্যাচে আটকে যাওয়ার পর আজ শুরু থেকেই যথেষ্ট আক্রমনাত্মক থেকেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তার জন্য আজ শুরু থেকেই যথেষ্ট চনমনে লেগেছে গোটা দলকে। ম্যাচের ঠিক কুড়ি মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুলঞ্জনা রাউল। তার ঠিক মিনিট তিনেক পর আবার গোল। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ২-০ গোল। এরপর ছাব্বিশ মিনিট। এবার গোল পেলেন তুলসী হেমব্রম। তারপর সাদা-কালো ব্রিগেডের তরফ থেকে প্রতি আক্রমণে আসার চেষ্টা করলে, সুযোগ বুঝে গোল করে নিজের হ্যাট্রিক সম্পন্ন করেন সুলঞ্জনা। প্রথমার্ধের শেষে ৪-০ গোলে এগিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে ও বজায় থাকে মশাল ঝড়।
FT| The #MoshalGirls march on!🔥#JoyEastBengal #EmamiEastBengal #KanyashreeCup pic.twitter.com/UVEVdYgv25
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) December 2, 2023
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার সাতচল্লিশ মিনিটের মাথায় ফের গোল তুলসীর। সেই ধারা বজায় রেখে হ্যাট্রিক সম্পন্ন করেন তুলসী হেমব্রম। তারপর মহামেডান স্পোর্টিং দলের তরফ থেকে রক্ষনভাগে জোর দেওয়া হলেও সুযোগ বুঝে ফের বল জালে জড়িয়ে যান সারজিদা খাতুন। নির্ধারিত সময়ের শেষে ফলাফল থাকে ৭-০ গোল। উল্লেখ্য, লাল-হলুদ ফুটবলারদের তরফ থেকে কয়েকটি সুযোগ নষ্ট না করলে আরও বাড়তে পারত ব্যবধান।