বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান, মহমেডানে বাঙালি খেলানোর পক্ষে আবেদন করেছেন সেখানে বাঙালি প্রতিভাকে ছেড়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। তাকে লুফে নিল মহমেডান। প্রতিভাবান বাঙালি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কৌস্তভ দত্ত মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৫ জানুয়ারিও তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সিনিয়র দলের সঙ্গে অনুশীলন করেন। ফ্যানেদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, দলে যখন এতো চোট আঘাত তখন এভাবে প্লেয়ার ছেড়ে দেওয়াটা কতটা যুক্তিপূর্ণ? বলছেন, প্রতিভাবান প্লেয়ারদের সুযোগ না দেওয়াটাও ব্যর্থতা।
কৌস্তভ যে দলে গিয়েছেন তারা আবার আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবারই কলকাতার বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে খবর আসে যে, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের খেলোয়াড়রা তাদের আইএসএল (ইন্ডিয়ান সুপার লিগ) হোম ম্যাচের জন্য চেন্নাইয়িন এফসি’র বিরুদ্ধে ১৫ জানুয়ারি অনুশীলন বয়কট করেছেন। খেলোয়াড়রা নাকি অভিযোগ করে বলেছেন যে তিন মাসের বকেয়া বেতন না দেওয়ার প্রতিবাদে তারা অনুশীলন বয়কট করেছিলেন।
আরও বলা হয় যে, যদি ক্লাব ম্যানেজমেন্ট ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তবে খেলোয়াড়রা প্রশাসনের কাছ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ দেখতে পাননি এবং সেই কারণে অনুশীলনে অংশগ্রহণ করেননি।
তবে মহমেডানের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ এই দাবি খারিজ করেছেন। ময়দান রাজু নামে পরিচিত মহমেডান কর্তা বলেন, ‘যে রিপোর্টগুলো এসেছে তা সব মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন, এবং এগুলো ফেসবুকে তৈরি করে পোস্ট করা হচ্ছে। এমন কোনও সমস্যা নেই যে খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়া হয়নি। সব খেলোয়াড়কে বেতন দেওয়া হচ্ছে। যদি খেলোয়াড়দের বেতন না দেওয়া হত, তবে আমরা নতুন খেলোয়াড় কেন সই করতাম?’
আহমেদ আরও বলেন, ‘আমাদের ইনসেনটিভ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। আগে, আমরা সব খেলোয়াড়কে ইনসেনটিভ দিতাম। কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, কেবলমাত্র যারা ভালো পারফর্ম করবে, তাদেরই ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। খেলোয়াড়দেরও জানানো হয়েছে যে, যদি তারা ভালো পারফর্ম না করে, তবে তাদের ইনসেনটিভ কাটা যাবে।’