চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই প্রি-সিজন শুরু করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গ (East Bengal) দল। তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে নিউটাউনের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে নিজেদের প্রস্তুত করেছিলেন ক্লেটন সিলভারা। সেখান থেকেই সকলের নজর কেড়েছিলেন কার্লোস জিমেনেজ সানচেজ (Carlos Jimenez Sanchez)। ফুটবল মরসুম শুরুর প্রাক্কালে লাল-হলুদের ফিটনেস কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এই স্প্যানিশ। ভারতে আসার পূর্বে থাইল্যান্ডের প্রথম ডিভিশনের এক ফুটবল ক্লাবের দায়িত্ব সামাল দিয়েছিলেন তিনি।
সবদিক মাথায় রেখেই তাঁর হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। কিন্তু আশানুরূপ ফল হয়নি। ডুরান্ড কাপ থেকে শুরু করে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ালিফায়ার ম্যাচ হোক কিংবা আইএসএল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই হতাশাজনক পারফরম্যান্স করতে থাকে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। পরাজিত হতে হয় একের পর এক ম্যাচ। এই পরিস্থিতিতে কোচ বদলের পাশাপাশি ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে ও উঠে আসতে শুরু করে একাধিক প্রশ্ন। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগেই দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
পরবর্তীতে অস্কার ব্রুজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। তাঁর নির্দেশ মেনেই পরবর্তীতে এগোতে শুরু করে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। কোচিংয়ের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ফিটনেসের দিকে নজর দিয়ে নয়া ফিজিও নিয়ে আসেন অস্কার ব্রুজন। বর্তমানে তাঁর প্রভাব দেখা গিয়েছে দলের অন্দরে। গত মঙ্গলবার পিছিয়ে থাকা ম্যাচে ও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। হিজাজি মাহেরদের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে মন জয় করেছে সকল সমর্থকদের। অপরদিকে গত মাসেই ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল জেমিনেজ সানচেজের হাতে।
সেইমতো বিনো জর্জের ছেলেদের ফিটনেসের দিকেই নজর দিচ্ছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। তবে এবার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল গতবারের সুপার কাপ জয়ীরা। বলাবাহুল্য, মরসুমের শুরুতে বহু প্রত্যাশা নিয়ে তাঁকে দলের সঙ্গে যুক্ত করেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই মিলেছে হতাশা। এই সমস্ত দিক মাথায় রেখেই তাঁকে বিদায় জানাল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই ফুটবল ক্লাব।